চাঁদপুর জেলা আনসার ভিডিপি আগস্ট মাসের রেশনের অধিকাংশ চাল ও গম অন্যত্র বিক্রি করে দেয়ার বিনিময়ে সদস্যদের যথাযথ মূল না দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী আনসারদের বক্তব্যে জানা যায়, গত আগস্ট মাসের ৩শ’ ৩৬জন আনসার সদস্য ও ৬জন কর্মকর্তার জন্য রেশনের ৯ হাজার ৫৭৬ কেজি চাল ও ৯ হাজার ৫শ’ ৭৬ কেজি গম এবং ৬শ’ ৮৪ কেজি সোয়াবিন তেল বরাদ্দ দেয়া হয়।
কিন্তু এসব চাল ও গমের অধিকাংশ অন্যত্র বেশি দাম পেয়ে বিক্রি করে দেন আনসার বিডিপির অতিরিক্ত সহকারী জেলা কমান্ড শাহ আলম। এ ঘটনা কেন্দ্র আনসার সদস্যরা ক্ষুব্ধ হন।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় চাঁদপুর আনসার ভিডিপি কার্যালয়ের সামনে আনসার সদস্যরা ভিড় জমান। খবর পেয়ে বিষয়টি সমাধান করতে জেলা আনসার বিডিপি কমান্ড এ এস এম আজিম উদ্দিন আনসার সদস্যদের নিয়ে বসেন। চাপের মুখে তাৎক্ষণিক অভিযোগকারী কিছু আনসার সদস্যদের চাল ও গম ফেরত দিতে বাধ্য হন।
আনসার সদস্য সিরাজ,মো. আল মামুন, জালালসহ নাম না প্রকাশ করতে অনইচ্ছুক কয়েকজন আনসার সদস্য চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘প্রতিজন আনসার সদস্য মাসে রেশন পাওয়ার কথা ২ কেজি সোয়াবিন তেল ও ২৮ কেজি করে চাল-গম। কিন্তু সরকার আনসার সদস্যদের জন্য রেশনের এসব চাল ও গম সময়মত দিলেও চাঁদপুর জেলা আনসার বিডিপি অফিসে তা সময়মতো দেয়া হয় না। তাদের রেশন চাল ও গম, চওড়া দামে অন্যত্র বিক্রি করে দেওয়া হয়।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চাঁদপুর ও মতলবের দু’জন আনসার সদস্য বলেন, ‘আমরা দরিদ্র পরিবারের সন্তান পেটের জন্য আনসার বাহীনিতে এসেছেন, যে বেতন পায় তা দিয়েই কোনরকমে সংসার চালিয়ে আসছে। কিন্তু রেশনের চাল ও গম পেলে একটু ভালো ভাবে চলতে পারে। আগস্ট মাসে আমাদের জেলা আনসার বিডিপির অতিরিক্ত সহকারী জেলা কমান্ড শাহ আলম আমাদের রেশনের চাল ও গম বেশি দামে বিক্রি করেন অন্যত্র। কিন্তু বিনিময়ে তাদেরকে কেজি প্রতি চালের মুল্য কেজি প্রতি ২৬ ও গম কেজি প্রতি ১৭ টাকা করে পরিশোধ করে। কিন্তু তাদেরকে খোলা দোকান থেকে ৫০ টাকা কেজি চাল কিনে খেতে হচ্ছে।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত অতিরিক্ত সহকারী জেলা কমান্ড শাহ আলম চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, ‘আনসার সদস্যদের অনেকেই আমাকে এসব চাল গম বিক্রি অন্যত্র বিক্রি করার জন্য বলায় আমি এসব চাল ও গম বিক্রি করে দেই। প্রতি মাসে চার টন চাল ও ২ টন করে গম আনসার সদস্যরা না নেয়ায় আমাকে অন্যত্র বিক্রি করতে হচ্ছে।’
মূল্য কম দেয়ার বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এ ব্যাপারে আনসার বাহিনীর জেলা কমান্ড এ এস এম আজিম উদ্দিন বলেন, ‘যেসব আনসার বাহিনির সদস্য দুরে থাকেন তাদের চাল গম বিক্রি করে তাদের টাকা দেওয়া হচ্ছে । এটা কোনো সমস্যা না। তারা মালের পরিবর্তে টাকা পাচ্ছেন।’
মো. জাবেদ হোসেন
: আপডেট, বাংলাদেশ ৯: ১০ পিএম, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বুধবার
ডিএইচ