চাঁদপুরে বিষাক্ত রং দিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে শিশুদের খাবার হাওয়াই মিঠাই। এসব খাবার খেয়ে মৃত্যুর দিকে ঝুঁকছে কোমল মতি শিশুরা।
যেখানে এসব হাওয়াই মিঠাই তৈরি করার জন্য প্লেবার জাতীয় রং ব্যবহার করা দরকার সেখানে তা না করে অধিক লাভের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে হাজার বহরের বিষাক্ত রং।সাথে রয়েছে চিনি এবং স্পীট। যে রংয়ে ক্যান্সার হওয়ার আশংকা থাকে।
খবর নিয়ে জানা যায়, চাঁদপুর শহরের বকুল তলা এলাকায় মেহেদী নামক এক যুবক দীর্ঘদিন ধরে চাঁদপুরে এসব হাওয়াই মিঠাই তৈরি করে ব্যবসা করে চলেছেন। শহরের বিভিন্নস্থানে পলিথিনে মোড়ানো রঙ্গিন এসব হাওয়াই মিঠাই হাতে প্রতিদিনই হকারের হাতে দেখা মিলে।দৃষ্টি কাড়া এসব রঙ্গিন হাওয়াই মিঠাই সখ করে শিশুদের ক্রয় করে খাওয়ান অভিবাবকরা। কিন্তু কেউ হয়তো জানেননা নজর করা এসব রঙ্গিন হাওয়াই মিঠাই খাওয়ার কারনে শিশুরা দিন, দিন মৃত্যুর দিকে জুকে পড়ছে।
শহরের বকুলতলা এলাকায় সরজমিনে গিয়ে দেখাযায়, ছোট্ট একটি টিনের ঘরে অসাস্থকর পরিবেশে কয়েকজন করিগর চিনি, রং, স্পীট এবং আগুনের ধারায় এসব হাওয়াই মিঠাই তৈরি করছেন। ফ্লোরে বসে খোলা জায়গায় বসে তা তৈরি করার কারনে বাহিরের ধুলাবালি গিয়ে পড়ছে তার উপর।
অনুসন্ধান করে জানা যায়, যেখানে এসব তৈরি করার জন্য প্লেবার জাতীয় চকলেট কালারের দামি রং ব্যবহার করার কথা,তারা তা না করে হাজার বহরের বিষাক্ত রং ব্যবহার করছেন। কারন প্লেবার জাতীয় চকলেট কালারের ১০০ গ্রাম রংয়ের মূল্য ১২,শ টাকা। আর হাজার বহরের ১ কেজি রংয়ের মূল্য মাত্র ১২, শ টাকা। তাই তারা কম চালানে অধিক লাভের জন্য হাজার বহরের বিষাক্ত রং ব্যবহার করছেন।
আর এসব খেয়েই অনাকাঙ্খিত ভাবে দিন, দিন মৃত্যুর দিকে ঢলে পড়েছে শিশুরা। কারন কয়েক বিশেজ্ঞদের সাথে আলাপকালে জানাযায়, এই রং খেলে শারিরিক ক্ষতির আশংকা থাকে। শরীরের বিভিন্ন রোগ দেখা দেয়। এমন কি ক্যান্সারের ঝুকি থাকে বেশি।
এই বিষয়ে হাওয়াই মিঠাই কারখানার মালিক মেহেদীর সাথে কথা হলে,তিনি এমন বিষাক্ত রংয়ের ব্যবহারের কথা স্বীকার করে বলেন,যখন আমরা দুরে কোথাও মেলা কিংবা কোন অনুষ্ঠান হয় তখন সেই রং ব্যবহার করে থাকি। এমনিতে সাধারণ তো আমরা প্লেবার জাতীয় চকলেট কালারের রং ব্যবহার করি।
এখন তো চাঁদপুরে বিজয় মেলা হয়, এসব মিঠাই বেশি বিক্রি হয় সেক্ষেত্রে তো এখন হাজার বহরের রংটাই ব্যবহার করছেন?এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোন উত্তর দেননি।
তাই আগামী প্রজন্ম শিশুদের অকালে মৃত্যুর ঝুঁকি থেকে বাঁচাতে খুব দ্রুত গতিতে এসব হাওয়াই মিঠাই তৈরির কারখানাতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
প্রতিবেদক:কবির হোসেন মিজি