চাঁদপুর

চাঁদপুরে অবৈধ ফুটপাত উচ্ছেদ অভিযানকালে হামলা : আহত ৫

চাঁদপুর শহরের পালবাজারে অবৈধভাবে ফুটপাত দখলকরে কাঁচাবাজার উচ্ছেদ অভিযানকালে হামলার স্বিকার হয়েছেন চাঁদপুর পৌরসভার কর্মচারীরা। এ ঘটনায় পৌর কর্মচারী ও ব্যবসায়ি সহ ৫ জন আহত হয়েছে। ১ জনকে আটক করা হয়েছে।

জানা গেছে, কুমিল্লা সড়ক থেকে বকুল তলা পর্যন্ত দীর্ঘদিন যাবত কাঁচামালের আড়ৎদাররা চলাচলের ফুটপাত দখল করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলো।স্থানীয় বাসিন্দা ও পথচারিদের অভিযোগের ভিত্তিতে বহুবার কাঁচামাল ব্যবসায়িদের পৌরসভা নিষেধ করা সত্বেও তারা কর্নপাত করেনি।

ফলে মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় চাঁদপুর পৌরসভার কর আদায়কারি তহিদুল ইসলাম চপলের নেতৃত্বে পালবাজার এলাকায় অভিযান চালানো হয়।

এসময় পালবাজার ২য় গেইট সংলগ্ন আজমীর টেড্রার্সের ফুটপাতে থাকা কাঁচা মাল জব্দ করতে গেলে লেবার ইদ্দিস ও মালিক মফিজ ছৈয়ালের সাথে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্য হাতাহাতি হয়।

এ ঘটনায় আজমীর টেড্রার্সের মালিক মফিজ ছৈয়াল,চাঁদপুর পৌরসভার কর আদায়কারী এনায়েত উল্ল্যাহ, সহকারি কর আদায়কারি ফিরোজ আলম,সহকারি কালেক্টর জাকির ও পিয়ন জাকির আহত হয়।

এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন চাঁদপুর মডেল থানার এসআই বিপ্লব। এসময় তিনি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে আজমীর টেড্রার্সের ম্যানাজার সেলিমকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

এ ব্যপারে আজমীর টেড্রার্সের মালিক মফিজ ছৈয়াল জানায়,দোকানের বাইরে কিছু মালামাল ছিলো। আমার দোকানের লেবারের সাথে পৌরসভার কর্মকর্তাদের সাথে কথা কাটাকাটি হয়েছে। আমি এখানে কিছুই বলিনি। হঠাৎ চাঁদপুর পৌরসভার ৮/১০ জন এসে আমাকে কিল ঘুসি মারে।

চাঁদপুর পৌরসভার কর আদায়কারি তহিদুল ইসলাম চপল জানান,তাদেরকে বার বার ফুটপাত ছেড়ে ব্যবসা করতে বলা হয়েছে। তারা কোন তোয়াক্কা না করে রাস্তার উপর ভ্যান ও মাল রেখে ব্যবসা করে আসছে। গতকাল আমরা অভিযান চালালে কাঁচামালের ব্যবসায়ি ও আড়ৎদাররা মিলে পৌর কর্মচারিদের উপর হামলা চালায়। এসময় আমার ৪ জন কর্মচারি আহত হয়।

চাঁদপুর পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মফিজ হালদার জানান, পৌর কর্মচারীদের উপর হামলার ঘটনা শুনে আমরা ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। সেখানে ব্যবসায়িকে মারধরে কোন ঘটনা ঘটেনি।

চাঁদপুর মডেল থানার এসআই বিপ্লব চন্দ্র নাহা জানান, পৌরসভার কর্মচারীদের উপর হামলার ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। এসময় সেলিম নামে একজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসি।

এদিকে আওয়ামী লীগ নেতা মঞ্জু মাঝি ও পালবাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন মাষ্টারের নেতৃত্বে বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধানের আশ্বাসে আটক সেলিমকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

প্রতিবেদক:মাজহারুল ইসলাম অনিক

Share