চাঁদপুরের ৮ উপজেলায় ৪৯ ডেন্টাল ক্লিনিক অবৈধভাবে পরিচালিত হচ্ছে। এ সব অবৈধ ডেন্টাল ক্লিনিকগুলি বছরে লাখ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে চলছে। ক্লিনিকগুলি আকর্ষণীয় সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিব্যি সেবার বিপরীতে ব্যবসার মনোভাবে চালিয়ে যাচ্ছে।
চাঁদপুর সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায় , যে কোনো ডেন্টাল ক্লিনিক পলিচালনা করার আগে চিকিৎসক ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত টেকনিশিয়ান নিয়োগ, প্রয়োজনীয় রি-এজেন্ট,সিভিল সার্জন কার্যালয় ও স্বাস্থ্য বিভাগের বৈধ অনুমতিপত্র এবং এক হাজার টাকার ট্রেজারী চালান জমা আবশ্যক।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, চাঁদপুর সদরে ৬ টি, কচুয়ায় ৪ টি, শাহারা¯িততে ৭টি ,হাজীগঞ্জে ১০ টি, ফরিদগঞ্জে ১৬ টি ও মতলব দক্ষিণে ৬ টি ডেন্টাল ক্লিনিকের লাইসেন্স নেই।
কিন্তু অবৈধ এ ডেন্টাল গুলি এ সবের কোনোই তোয়াক্কা না করে মাসের পর মাস, বছরের পর বছর একশ্রেণির চতুর ও মুনাফাবাজ ব্যাক্তিরা পরিচালনা করে আসছ্।ে ফলে একদিকে সাধারণ ও নিরীহ মানুষ প্রতারিত হচ্ছে অপর দিকে সরকার রাজস¦ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ।
কোনো কোনো ডেন্টাল ক্লিনিক প্যাথলজি ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সাথেই যুক্তভাবে চালাচ্ছে যা সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য বিভাগের কর্তা ব্যাক্তিদের ব্যতিত অন্য কোনো সাধারণ মানুষের বুঝার উপায় নেই।
চাঁদপুরের সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘অবৈধ ডেন্টাল ক্লিনিকগুলি চিহ্নিত করে বৈধ লাইসেন্সের জন্য বার বার নোটিশ প্রদান করা হয়েছে । অথচ ক্লিনিকগুলির মালিকগণ কর্তৃপক্ষের আদেশ মানছে না। বিষয়টি জেলার সমন্বয় সভায় উপস্থাপনও করা হয়েছে।’
প্রতিবেদক- আবদুল গনি