চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মোঃ শেখ মুহসীন আলমের নেতৃত্বে অপহরনের ৪৮ ঘন্টা পর মায়ের কোলে ফিরলো মাদ্রাসা ছাত্র নাঈম (১৫)।
মুক্তিপন চাওয়া বিকাশ নাম্বারের সূত্র ধরে পুলিশ বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে মাদ্রাসা ছাত্রকে উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে আনে।
জানা যায়, চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০নং লক্ষীপুর ইউনিয়নের দোকানঘর এলাকার তাকওয়া দারুল আকরাম মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র নাঈম (১৫)।
সোমবার বিকেলে নাঈমের সহপাঠি আবু সাঈদের সাথে মাদ্রাসায় কাউকে না জানিয়ে চট্টগ্রাম ঘুরতে যায়।
পরের দিন একটি নাম্বার থেকে ফোন আসে আপনার ছেলেকে আমাদের কাছে কাজ করতে ৭ মাসের চুক্তি করে ২ মাসের বেতন অগ্রিম নিয়ে তার বড় ভাই আমাদের কাছে রেখে গেছে। যদি তাকে ফিরে পেতে চান তাহলে একটি বিকাশ নাম্বারে টাকা পাঠান। কোন উপায় না দেখে নাঈমের বাবা ঐ বিকাশ নাম্বারে ৯ হাজার টাকা পাঠায়। টাকা দেওয়ার পর অপহরণকারীদের সাথে যোগাযোগ করতে না পেরে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় নাঈমের বাবা মঙ্গলবার একটি অপহরণের অভিযোগ করেন।
অভিযোগের পর সদর মডেল থানার ওসি মোঃ শেখ মুহসীন আলমের নেতৃত্বে পুলিশ পরিদর্শক ইন্টিলিজেন্স মোঃ শামছুল আলম, উপ পরিদর্শক শাহরিন হোসেনসহঅনান্য সদস্যরা অভিযানে নামে। পরে বিকাশ নাম্বারের সূত্র ধরে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপহরণকারীর একজনের বাড়ি ভোলা জেলায় স্থানীয় প্রশাসন দিয়ে অভিযান চালায়। জাতীয় পরিচয়পত্র সূত্রে অপহরকারীর বাড়ির ঠিকানা ভোলা থাকলে সে তার পরিবার নিয়ে থাকে নোয়াখালিতে। পুলিশের এই কার্যক্রমের খবর চলে যায় অপহরকারীদের কাছে। অবশেষে অপহরকারীরা অপহৃত নাঈমকে চট্রগ্রাম থেকে চাঁদপুরে ট্রেনে উঠিয়ে দেয়।
এ ব্যপারে নাঈমের বাবা নাছির গাজী জানান, আমার ছেলেকে পেয়ে আমি খুশি। পুলিশকে ধন্যবাদ। তারা চেষ্টা না করলে হয়তো আরো বড় মুক্তিপন তারা আমার কাছে দাবী করতো।
ওসি মোঃ শেখ মুহসীন আলম জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কাজ করেছি। আজ চট্রগামে আমাদের অভিযানে যাওয়ার কথা ছিলো। অপহরণকারীরা হয়তো তাদের গ্রামের বাড়িতে আমাদের অভিযানের খবর টের পেয়ে নাঈমকে চাঁদপুরের ট্রেনে উঠিয়ে দিয়েছে।
প্রতিবেদক: মাজহারুল ইসলাম অনিক, ৩ আগস্ট ২০২৩