চাঁদপুরে ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া অপহৃতা স্কুলছাত্রী ফারজানা আক্তারকে সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে অপহরনের ২ মাস পর মডেল থানার পুলিশ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। আদালতের নির্দেশে তাকে মায়ের জিম্মায় দেয়া হয়েছে।
চাঁদপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের সামনে থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ‘অপহরণকারীরা’ ফারজানাকে হাসপাতালের সামনে ছেড়ে দিয়ে পুলিশকে মুঠো ফোনে জানালে পুলিশ তাকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
পরে তাকে চাঁদপুর আদালতে প্রেরণ করা হলে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ও শিশু আদালতের বিচারক মামুনুর রশিদ বিকেল ৫টায় অপহৃতা ফারজানা আক্তারের মা’ লিপি বেগমের আবেদনের প্রেক্ষিতে ফারজানাকে মায়ের জিম্মায় হস্তান্তর করে।
অপহরণ মামলা পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন চাঁদপুর জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি এডভোকেট সেলিম আকবর ও এডভোকেট চৌধুরী ইয়াছিন ইকরাম।
মামলায় অভিযুক্ত আসামীরা পলাতক রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত ২১ জুলাই সদর উপজেলার মৈশাদী এলাকার মির্জাপুর নামক স্থান থেকে স্কুলে যাওয়ার সময় অপহরণ হয়। অপহৃতা স্কুল ছাত্রীর পিতা ফরিদ গাজী প্রবাসে থাকায় তার মা লিপি বেগম গত ২৯ জুলাই তার মেয়ে অপহরন হয়েছে বলে চাঁদপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করে।
মামলায় একই এলাকার আবু তাহেরের ছেলে নিশান শেখ (২৪) কে প্রধান আসামী করে, নিশানের বাবা আবু তাহের শেখ, মাতা মমতাজ বেগম কে অপহরণকারী হিসেবে আসামী করা হয়।
এ ব্যাপারে গত ২৮ জুলাই অভিযুক্তদের একজন আবু তাহের শেখ তার ছেলে নিশান শেখ নিখোঁজ রয়েছে মর্মে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করে। এ সংবাদটি স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়।
এর পূর্বেই ২১ জুলাই নিশান শেখ তার বাবা মায়ের সহযোগিতায় ফারজানাকে অপহরণ করেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
এ ঘটনায় আদালত প্রাঙ্গনে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৭:০০ এএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬, মঙ্গলবার
ডিএইচ