চাঁদপুর বিদ্যুৎ বিভাগের বিক্রয় ও বিতরণ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ইউনিটের চেয়ে গ্রাহকের কাছে অতিরিক্ত বিল নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিভাগে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন সুফল পাননি ভুক্তভোগী গ্রাহক।
চাঁদপুর শহরের ষোলঘর পাকা মসজিদ এলাকার আ. রউফের ভাড়াটিয়া আরিফ রাসেল ৫৮১১২৯ নম্বরের মিটারের গ্রাহক। তাকে গত ২৩ অক্টোবর বিদ্যুৎ অফিস থেকে ৪ হাজার ৪১২ টাকা রশিদে উল্লেখ করে ২ মাসের বিল প্রদান করা হয়।
যে বিলের কাগজটিতে অনিয়ম দেখা যায। গ্রাহক আরিফ রাসেল জানান আগস্ট এবং সেপ্টেম্বর মাসে তিনি যে বিলের কাগজ হাতে পান তাতে (২৯৯০ থেকে ৩৩৯০ ইউনিট) ৪শ’ইউনিটের বিল উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত তার মিটার রিডিংয়ে দেখা যায় ৩৩৩০ ইউনিট উঠে আছে।
যা উল্লেখিত বিলের কাগজের চেয়ে ৬০ ইউনিট কম। বিদ্যুৎ অফিস থেকে দেয়া বিলের কাগজের সাথে মিটার রিডিংয়ের মিল খুঁজে না পেয়ে তিনি ২৬ অক্টোবর চাঁদপুর বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলীর বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ প্রেরণ করেন। কিন্তু তাতেও কোন সমাধান পাওয়া যায়নি।
এ ছাড়াও চাঁদপুর শহরের আরো বেশ ক’জন গ্রাহকের কাছে ইউনিটের চেয়ে অধিক বিল প্রদানের অভিযোগ পাওয়া যায়।
এদিকে শহরের বিভিন্ন স্থানের একাদিক ব্যক্তি জানান মিটার দেখার জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের মিটার রিডাররা কখন আসে কখন যান কেউই তা দেখতে পাননি। তারা মিটার না দেখেই আগের মাসের বিল অনুযায়ী অনুমান করে তাদের পছন্দমত বিল লিখে দেন। আর এ কারণেই প্রতি মাসে প্রকৃত বিলের চেয়ে অতিরিক্ত বিল প্রদান করছেন গ্রাহকরা।
এ ব্যাপারে চাঁদপুর বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন ‘এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়ে তা দেখার জন্য আমি লোক পাঠাবো।’
আর দু’মাসের বিলের সাথে যে অতিরিক্ত ইউনিট যোগ করা হয়েছে তা কি করা হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি ওই গ্রাহককে বলেছি এ দু’মাসের বিল পরিশোধ করে দেওয়ার জন্য। পরবর্তী মাসের বিল কম আসবে।’
এদিকে বিদ্যুৎ বিভাগের অনিয়মকে মেনে নিতে ভুক্তভোগী গ্রাহকরা হঠকারি সিদ্ধান্ত মেনে নিতে রাজি নন।
প্রতিবেদক- কবির হোসেন মিজি
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৯:৫০ পিএম, ২৬ অক্টোবর ২০১৬, বুধবার
ডিএইচ
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur