মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর পক্ষে কাজ করা রাজাকারদের তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নথি পর্যালোচনা করে প্রথম ধাপে ১০ হাজার ৭৮৯ জনের তালিকা প্রকাশ করা হল। এ তালিকা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক।
জানা গেছে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীদের তালিকা এখনও পূর্ণাঙ্গ নয়। তবে মন্ত্রণালয়ের কাছে যে তালিকা গেছে তার মধ্যে রয়েছে চাঁদপুরে ৯, মেহেরপুরে ১৬৯, শরীয়তপুরে ৪৪, বাগেরহাটে ১ ও নড়াইল থেকে ৫০ জন রাজাকারে তালিকা।
মন্ত্রী বলেন, রাজাকারের এই তালিকা বিশেষ করে নাম ঠিকানা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। রাজাকারদের নাম-পরিচয় নতুন প্রজন্মকে জানানোর জন্যই তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে।
রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক এ তথ্য জানান। (খবর বিডি লাইভ))
মন্ত্রী বলেন, আমরা কোনো তালিকা তৈরি করছি না। পাকিস্তান সরকার কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন এবং যেসব পুরোনো নথি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংরক্ষিত ছিল সেটুকু প্রকাশ করছি।
তিনি আরও বলেন, তৎকালীন বিভিন্ন জেলার রেকর্ড রুম থেকে এবং বিজি প্রেসে ছাপানো তালিকাও সংগ্রহের প্রচেষ্টা চলছে। যাচাই-বাচাই করে ধাপে-ধাপে আরও তালিকা প্রকাশ করা হবে।
এ সময় মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী বলেন, অন্যদের নামের তালিকা শিগগিরই প্রকাশ করা হবে। তিনি বলেন, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ২ লাখ ১০ হাজারের বেশি নয়।
মন্ত্রী জানান, জামায়াতে ইসলামীসহ স্বাধীনতাবিরোধীরা ক্ষমতায় থাকাকালে অনেক রেকর্ড সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
মন্ত্রণালয় থেকে এর আগে বলা হয়েছিল, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে এ তালিকা প্রকাশ করা হবে। এখন এর একদিন আগেই তা প্রকাশ করা হলো।
গত ২ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে রাজাকারদের তালিকা প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওইদিন বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি শাজাহান খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘তালিকা হাতে আসা শুরু হয়েছে। ১৬ ডিসেম্বরের আগে যতটুকু আসবে পর্যায়ক্রমে প্রকাশ করা হবে।’