একজন করে হলেও উত্তরাধিকার রেখে যাবেন : জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সবুর মন্ডল
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নির্দেশনায় ‘‘চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি সম্মাননা-২০১৪’’ বুধবার সন্ধ্যায় চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সবুর মন্ডল। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, “আমরা একজন শিল্পীর গান শুনি কিন্তু তার গুণগান করতে কৃপণতা বোধ করি। এটা সত্যিই দুঃখজনক। আজকে যারা তাদের কর্মকান্ডের স্বীকৃতিস্বরূপ সম্মাননা পেলেন তাদের প্রতি আমার অনুরোধ, তারা প্রত্যেকে অন্তত একজন করে হলেও উত্তরাধিকার রেখে যাবেন। আপনারা যদি একজন হলেও উত্তরাধিকার রেখে যেতে পারেন তবেই আপনারা বেঁচে থাকবেন এবং এই জেলার সাংস্কৃতিক অঙ্গনও উপকৃত হবে। ”
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার সামছুন্নাহার, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল।
বর্ণচোরা নাট্যগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক শরীফ চৌধুরীর পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কাজী শাহাদাত, সভাপতি শহীদ পাটোয়ারী, চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর মনোহর আলী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি তপন সরকার।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা শিল্পকলা একাডেমীর কালচারাল অফিসার আবু সালেহ মো. আব্দুল্লাহ।
আলোচনা শেষে ৫ গুণী শিল্পীকে নগদ ১০ হাজার টাকা করে সম্মানী, সনদ, মেডেল ও উত্তরীয় প্রদান করা হয়।
এসময় নিজেদের অনুভূতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন যন্ত্র ও ধ্রুপদী সংগীতে সম্মাননাপ্রাপ্ত স্বপন সেনগুপ্ত, নাট্যকলায় সম্মাননাপ্রাপ্ত মো. হানিফ পাটওয়ারী, কণ্ঠসংগীতে সম্মাননাপ্রাপ্ত কৃষ্ণা সাহা, লোক সংস্কৃতিতে সম্মাননাপ্রাপ্ত হারুন আল রশীদ ও নৃত্যকলায় সম্মাননাপ্রাপ্ত রুমা সরকার।
সবশেষে সম্মাননাপ্রাপ্ত ৫ গুণী শিল্পী মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন।
আশিক বিন রহিম
|| আপডেট: ০৮:৩৫ পিএম, ০৪ নভেম্বর ২০১৫, বুধবার
এমআরআর