সারা দেশের ন্যায় চাঁদপুরেও একযোগে রোববার (২ এপ্রিল) এইচএসসি, মাদ্রাসা বোর্ডের আলিম ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা ও ভোকেশনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ বছর চাঁদপুর জেলার ৮ উপজেলায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৮ হাজার ৬শ’ ৩৮জন এবং কেন্দ্র সংখ্যা ৫০।
চাঁদপুরেও এক-অভিন্ন সময় ও নিয়ম নীতিতে এ পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন থেকে সকল প্রকার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। অধিকাংশ কেন্দ্রের প্রধান ফটকে থাকছে সিসি (ক্লোজ সার্কিট) ক্যামেরা।
জেলা প্রশাসনের শিক্ষা শাখার সূত্র মতে, জেলায় এইচএসসি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৮ হাজার ৫৮জন এবং কেন্দ্র ৩৩টি। মাদ্রাসা বোর্ডে আলিম পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২ হাজার ৭শ’ ৩৩ ও কেন্দ্র ১০টি।
ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা ও ভোকেশনাল পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ৮শ’ ৪৭জন। কেন্দ্র ৭টি।
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) পরীক্ষা সুষ্ঠ ও সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্যে জেলা প্রশাসন কর্তৃক বেশ ক’টি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।
চলতি বছর চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্তনুযায়ী চাঁদপুরের সকল এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের মূল ফটকে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (আইসিটি ও শিক্ষা ) মোহাম্মদ আব্দুল হাই বুধবার (২৯ মার্চ) তার ব্যক্তিগত ফেসবুক স্ট্যাটাসে এ তথ্য জানিয়েছেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (আইসিটি ও শিক্ষা ) মোহাম্মদ আব্দুল হাই জানান, ‘পরীক্ষা সুষ্ঠু সুন্দর ও নকলমুক্ত পরিবেশে করার লক্ষ্যে এ প্রদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে ।
এ ব্যাপারে চাঁদপুর সরকারি কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর ড.এ এস এম দেলোয়ার হোসেন জানান, ‘জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সভার সিদ্ধান্তের আগেই আমরা সিসি ক্যামেরা বসিয়েছি । বাবুরহাট স্কুল ও কলেজ অধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন জানান, ‘আমার প্রতিষ্ঠানে সিসি ক্যামেরা অনেক আগেই লাগানো হয়েছে ।এ বিষয়টি আমরা বেশ সর্তক আছি ।’ফরক্কাবাদ কলেজের অধ্যক্ষ ড.হাসান বলেন, ‘আমার প্রতিষ্ঠানে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে ।’
প্রসঙ্গত, এ বছর চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এইচএসসি পরীক্ষা সংক্রান্ত প্রস্তুতি সভায় জেলা প্রশাসক মো.আব্দুস সবুর মন্ডল আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের মূল ফটকে সিসি ক্যামেরা বসানোর নির্দেশনা দেন । যারা এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে ব্যর্থ হবে তাদের কেন্দ্র বাতিল করা হবে মর্মে ওই সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় ।
পরীক্ষা কেন্দ্রে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সবুর মন্ডল এ সিদ্বান্ত নেন। পরীক্ষার হলে সকল ধরনের অসাধু উপায় বর্জনের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কড়া হুঁশিয়ারি রয়েছে এবং হল সচিব ব্যতীত পরীক্ষার কাজে অন্য কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ।
এ ছাড়াও শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি যদি কোনো শিক্ষক অসাধু উপায় অবলম্বন করে এবং তা’ প্রমাণিত হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রতিবেদক- আবদুল গনি
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৯২: ০০ পিএম, ১ এপ্রিল ২০১৭, শনিবার
এজি/ডিএইচ
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur