চাঁদপুর সদর

চাঁদপুরের হামানকর্দি কমিউনিটি ক্লিনিকের ব্যাপক অনিয়ম

ব্যাপক অনিয়মের মধ্য চলছে চাঁদপুর সদরের মৈশাদী ইউনিয়নবাসী চিকিৎসা সেবার স্বার্থে সরকারের অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত হামানকর্দি কমিউনিটি ক্লিনিক।

ক্লিনিক পরিচালনার জন্য কর্মী থাকলে সেখানে নিয়মিত কর্মীদের উপস্থিতি নেই। ক্লিনিক থাকলেও সরকারি নিয়মে তেমন কোনো কার্যক্রম চলছেনা ওই ক্লিনিকে।

নানা রোগের চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ইউনিয়নবাসী। এ বিষয়ে একাধিক অভিযোগ পাওয়া যা। মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর ) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় , ১২ টার মধ্যেই ওই কমিউনিটি ক্লিনিকে তালা ঝুলানো রয়েছে। ভেতরে কোনো কর্মীকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। সরকারি নিয়মে সকাল ৯ টা থেকে ক্লিনিকের কার্যক্রম চলার কথা থাকলেও ওই ক্লিনিকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী শিহাব উদ্দিন পাটওয়ারী বেলা ১২ টার মধ্যেই ক্লিনিক বন্ধ করে দেন।

অথচ তিনিসহ ক্লিনিকের দায়িত্বে থাকা প্রত্যেক কর্মী প্রতিমাসে সাড়ে ১৭ হাজার টাকা করে সরকারি ভাবে বেতন গুণে নিচ্ছেন।

এলাকার মো. আবদুর রব, বিল্লাল খান, মোস্তফা খান, সামছল খান, শওকত আলীসহ একাধিক ব্যক্তি জানান , তারা কোনোদিনই এ ক্লিনিক থেকে ভালো কোনো চিকিৎসা সেবা পাননি। প্রায়ই তাদের স্ত্রীরা ক্লিনিকে ঔষধের জন্য গিয়ে কখনো ঔষধ পাননি এবং এভাবেই প্রতিদিন দুপুর বেলা ক্লিনিক বন্ধ করে দেন।

এমন অনিয়মের বিষয়ে জানতে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার শিহাব উদ্দিন পাটওয়ারীকে মুঠোফোনে ডেকে এনে জানতে চাইলে তিনি চাঁদপুর টাইমসকে বলেন , ‘আমরা নিয়মিত ক্লিনিক পরিচালনা করছি। আমার বি সি এস পরীক্ষার এডমিড কার্ডের জন্য একটু কাজ থাকায় আজকে আমি মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর ) বারোটা পঞ্চান্ন মিনিটে ক্লিনিক বন্ধ করেছি।’

আপনার পরিবর্তে আর অন্য কেউ কি ছিল কি ? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি ছাড়াও হেলথ এসিস্টেন্ট শিউলি আক্তার , ফ্যামিলি অয়েল ফেয়ার এসিস্টেন্ট তাসলিমা আক্তার, এবং এস এস সি এম ও প্রিয়াংকা রাণী নাথ নামে আরো ৩ জন কর্মী রয়েছে । তারা কেউ ঠিকমত অফিসে আসছে না।’

: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০৮:০০ এএম, ০২ অক্টোবর ২০১৬, রোববার
ডিএইচ

About The Author

প্রতিবেদক- কবির হোসেন মিজি
Share