চাঁদপুরের ঐতিহ্যবাহী হাজীগঞ্জ বাজারের হাজীগঞ্জ টাওয়ারের দ্বিতীয় তলায় চাঁদপুর জেলায় এ প্রথম অত্যাধুনিক‘ওয়েল ফ্রি ফুড রেস্টুরেন্ট ’ চালু হলো।
এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ২৯ অক্টোবর হাজীগঞ্জ টাওয়ারের দ্বিতীয় তলায় উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা বৈশাখী বড়ুয়া সকাল ১১টায় এর উদ্বোধন করেন।অনুষ্ঠানের সভাপতি ছিলেন হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় জামে মসজিদের ভার-প্রাপ্ত মতোয়াল্লী শাকিল আহমেদ প্রিন্স ।
ইতিমধ্যে চিকিৎসকগণ স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে রান্নায় তৈলের ব্যবহার বর্জন বা যতটা পারা যায় কমাতে বলা হয়েছে। তৈলের ব্যবহার বেশি হয় এমন খাবার যেমন পোলাও, রোস্ট, রেজালা বা বিভিন্ন রকমের খাবার যাদের খাওয়া নিষেধ এবং যাদের এসব খাবার খাওয়ার ইচ্ছা থাকলেও রেস্টুরেন্টে খেতে যান না-সে সকল ভোজনপ্রেমিকদের জন্য হাজীগঞ্জে এ রকম একটি রেস্টুরেন্ট চালু করা হলো।
সুস্থ থাকতে চান এমন সব ব্যাক্তিদের জন্যেও তৈল ছাড়া রান্না করা খাবার খেলে তাঁরা স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে সক্ষম হবেন।‘ভালো খাবার খাবেন-ভালো থাকবেন’এমন প্রতিশ্রুতিই নিয়ে হাজীগঞ্জে নতুন ও আধুনিক এ‘অয়েল ফ্রি ফুড রেস্টুরেন্ট ’ সংযোজন হলো। বিনা তেলে রান্না করা খাবার এবং হোম ডেলিভারি সার্ভিস এ রেস্টুরেন্টের থাকবে।
প্রতিষ্ঠাতা ড.মোহাম্মদ আলমগীর কবির পাটওয়ারী বলেন,‘ চিকিৎসকদের মতে খাবারে তৈলের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করে অনেক ধরনের রোগের প্রকোপ কমিয়ে আনা সম্ভব। মনে রাখতে হবে-তৈল অনেকের জন্য শারীরিক ক্ষতির কারণ।এসব বিষয় বিবেচনা করে আমাদের খাবার খাওয়া উচিৎ। তৈল হৃদরোগ,ডায়াবেটিস,উচ্চ রক্তচাপ,ওজনবৃদ্ধিতে সহায়ক,বদহজম ও গ্যাস্টিকসহ নানা রোগের সৃষ্টি করে।স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতেই এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’
হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদের ভার-প্রাপ্ত মোতাওয়াল্লী প্রিন্স সাকিল আহমেদ বলেন ,‘বর্তমানে নিরাপদ খাবার নিশ্চিত করাই বড় চ্যালেঞ্জ। খাবার নিয়ে সমাজকে সচেতন করা এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষার দায়িত্ব সবাইকে নিতে হবে। স্বাস্থ্যসম্মত খাবার পরিবেশনের মধ্যদিয়ে এ বিষয়ে আমূল পরিবর্তন আনা সম্ভব। এ রকম ভাবনা থেকেই আমরা ‘ওয়েল ফ্রি ফুড রেস্টুরেন্ট’এ ফরমালিনমুক্ত শাক-সবজি, সব ধরনের মাছ-মাংস এবং স্বাস্থ্যসম্মত খাবার পরিবেশন করার উদ্যোগ নিয়েছি ।’
আবদুল গনি , ৩০ অক্টোবর ২০২০