চাঁদপুর-চান্দ্রা সড়কে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা অবৈধ ভাবে দখল করে পাকা ভবন ও দোকানপাট নির্মানের হিড়িক চলছে। চাঁদপুর জেলা শহরের বিভিন্নস্থানে এভাবে সরকারি জমি দখল করে পাকা ভবন ও দোকান পাট নির্মানের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না কর্তৃপক্ষ।
গত কয়েক দিন ধরে দেখাযায়, বাগাদী চৌরাস্তা হতে শুরু করে নানুপুর, সুইচগেট, পশ্চিম সকদী, সাহেব বাজার, মমিনপুর চান্দ্রা চৌরাস্তা সহ সড়কের বিভিন্নস্থানে একের পর এক গড়ে উঠছে অবৈধ স্থাপনা।
এতে চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোন গুরত্ব না থাকায় ওই সকল এলাকার কিছু প্রভাবশালী লোক প্রশানকে তোয়াক্কা না করে তারা তাদের খাম খেয়ালী মতো ওয়াপদা রাস্তার পাশে একের পর এক পাকা ভবন ও দোকানপাট নির্মাণ করছেন।
গত কয়েক মাস ধরে চাঁদপুর-চান্দ্রা সড়কে ওয়াপদা রাস্তার পাশে কতিপয় ব্যাক্তিরা পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে কোন কিছু না জানিয়ে কিংবা কোন অনুমতি না নিয়েই খুব মজবুত করে রড সিমেন্ট দিয়ে পাকা দোকান পাট উত্তোলন করছেন।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী চৌরাস্তায় গিয়ে দেখাযায়, দুই ব্যবসায়ী প্রভাব ঘাটিয়ে অবৈধ ভাবে ওয়াপদার জায়গা দখল করে পাকা দোকান নির্মাণ করছেন। এতে তিনি প্রশাসন কিংবা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোন ব্যাক্তিকেই তোয়াক্কা করছেন না।
এছাড়াও ওই সড়কের বিভিন্ন জায়গায় একই ভাবে একের পর এক অবৈধ ভাবে ওয়াপদার জায়গা দখল হচ্ছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী লিটন ঢালীর কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়ে বলেন, আমি অবৈধ ভাবে দরকারি জায়গা দখল করছি, এসব বিষয়ে আপনি যা খুশি তা লিখেন। পত্রিকায় আসলে আমি বুঝবো। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোন অনুমতি আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো রেগে গিয়ে লাইন কেটে দেন।
তার ভাতিজা আল-আমিন জানান, জায়গার মালিক আমরা তাই আমার জায়গায় পাকা দোকান নির্মাণ করছি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের কোন অনুমতি নিয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা কোন অনুমতি নেইনি তবে গতকাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের কয়েকজন লোক এসেছিলো। আর এ কোনটি অবশ্য আমি করছিনা এটি আমার চাচা লিটন গাজী করছে।
চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ সহকারী প্রকৌশলী ওয়াহিদুর রহমানকে একাধিক বার কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
তবে এরপূর্বে যখন চাঁদপুর-হরিণা সড়কের ওয়াপদার জায়গা দখলের বিষয়ে কথা হলে তিনি জানান, পাকা দোকান পাট উত্তোলনের বিষয়টি আমরা জেনেছি এখন আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিবো।
তিনি আরো জানান, এর আগে এসব বিষয়ে উচ্ছেদ অভিযানের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর বেশ কয়েকবার আবেদন করার পর ম্যাজিস্ট্রেট ও নিয়োগ দেয়া হয়েছে কিন্তু অনিবার্য কারন বশত তা আজো কার্যকর হচ্ছে না।
প্রতিবেদক- কবির হোসেন মিজি