শিক্ষাই মানুষকে মুক্তি দেয়। মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলোর অন্যতম একটি হলো শিক্ষা। কিন্তু সে গ্রহণে এতটা বেগ পেতে হবে সেকথাটি হয়তো কখনোই ভাবেননি কোমলমতী এসব শিশুরা।
ক’জন কলেজ শিক্ষার্থীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় চাঁদপুর বড় স্টেশন মোল হেডের পাশে রেলওয়ে কোর্ট স্টেশনের একটা ভাঙা, পরিত্যাক্ত ভবনের বারান্দায় সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের নিয়ে পাঠ কার্যক্রম পরিচালিত হয় ।
পাঠকার্যে সহায়তা করে কয়েকজন তরুণ-তরুণী। এরা হলেন, পূজা, দীপংকর,এবং ফারিয়াদ।
তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল এ বিদ্যানিকেতন। হাসি-গান, শিক্ষা, সংস্কৃতি সবই মিশে আছে স্কুলটিতে।
২০১৬ সালে খোলা আকাশের নিচে পাঠ কার্যক্রম দিয়ে শুরু হয় ভ্রাম্যমাণ এই বিদ্যালয়। কলেজ পড়ুয়া ক’জন শিক্ষার্থী অবিরাম বিদ্যা বিলানোর কাজে নিজেদের সম্পৃক্ত করেছেন।
বিদ্যালয়টিতে অন্তত ২৫ জন সুবিধা বঞ্চিত শিশু পাঠ অনুশীলন করে। একজন শিশুকে শিক্ষার যে প্রথম হাতেকড়ি তা ই বিদ্যালয়টিতে দেয়া হয়। পরবর্তীতে এস শিশুদের সাধারণ স্কুলে ভর্তি করানো হয়।
ভ্রাম্যমাণ এ বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ জানান, ‘ছিন্নমূলে বেড়ে উঠা শিশুদের মৌলিক অধিকার আদায়ের ব্যাপারে তারা বদ্ধপরিকর। শিক্ষা মানুষের মনের অন্ধকারকে দূর করে।
তাদের দাবি, সবাই যখন ব্যস্ত নিজ স্বার্থ নিয়ে, তখন এ বিদ্যালয়ে শিক্ষকবৃন্দ ব্যস্ত প্রতিভা খোঁজার সন্ধানে।
রিফাত কান্তি সেন
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১: ৩০ এএম, ৫ জুলাই ২০১৭, সোমবার
ডিএইচ