ঢাকায় বুড়িগঙ্গা নদীতে নৌ দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনায় চাঁদপুরের ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক, মাস্টারসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। ‘অবহেলাজনিত মৃত্যু’ ঘটানোর অভিযোগ এনে মঙ্গলবার ভোর রাতে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলার বাদী নৌ-পুলিশের এসআই শামছুল আলম।
মামলার আসামিরা হলেন, ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক মোসাদ্দেক হানিফ সোয়াদ, মাস্টার আবুল বাশার, মাস্টার জাকির হোসেন, স্টাফ শিপন হাওলাদার, শাকিল হোসেন, হৃদয় ও সুকানি নাসির মৃধা। এছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আরও পাঁচ-ছয়জনকে সেখানে আসামি করা হয়েছে।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার এসআই বাছির উদ্দিন বলেন, মামলায় দণ্ডবিধির ২৮০, ৩০৪ (ক), ৩৩৭ ও ৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
এমএল মর্নিং বার্ড নামের ওই লঞ্চটি সোমবার সকালে মুন্সিগঞ্জের কাঠপট্টি থেকে যাত্রী নিয়ে সদরঘাটের দিকে আসছিল।
শ্যামবাজারের কাছে বুড়িগঙ্গায় ময়ূর-২ নামের আরেকটি বড় লঞ্চের ধাক্কায় সেটি ডুবে যায়।দুর্ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের পাশাপাশি নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড, নৌ পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএর কর্মীরা সেখানে উদ্ধার অভিযানে শুরু করে।
সোমবার দুপুর পর্যন্ত উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে ৩২টি মৃতদেহ উদ্ধার করেন। এছাড়া স্থানীয়রা আরও দুজনকে উদ্ধার করে মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকা ব্যুরো চীফ,৩০ জুন ২০২০