করোনা পরিস্থিতিতে দেশে দ্বিতীয় বারের মতো পালিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। সরকারি বিধি নিষেধের মধ্যে দেশের সকল পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ রয়েছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার পর থেকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চাঁদপুরের প্রধান পর্যটন কেন্দ্র বড় স্টেশন মোলহেডও বন্ধ হয়েছে। কিন্তু ঈদের আনন্দে কেউ মানছে না সরকারি নিষেধাজ্ঞা।
ঈদের দ্বিতীয় দিন শনিবার মোলহেডে হাজার হাজার মানুষের ঢল নেমেছে। তবে সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে চাঁদপুর সদর থানা পুলিশ সদস্যরা মোলহেড ত্যাগ করার জন্য সকলকে অনুরোধ করেন। এরপর থেকে জনসাধারনের প্রবেশ না থাকায় মোলহেড খালি হতে থাকে।
সরেজমিন বিকেলে মোলহেডে গিয়ে দেখা গেছে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে আসা শিশু, কিশোর, তরুন-তরুনিসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষের উপস্থিতি। শিশুরা আনন্দ উপভোগ করছে বিভিন্ন ধরণের রাইডারে। তরুণ-তরুণীরা ট্রলার করে মেঘনা নদী ভ্রমন করছে। কেউ কেউ পিকআপ ভ্যানে হৈইহুল্লোড় করে প্রবেশ করতে দেখা যায়।
কেউবা আবার মোলহেডে গাছের নীচে আড্ডা দিয়ে সময় কাটাচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধিত মানাই হচ্ছে না, বরং অনেকের মুখেই মাস্কও নেই।
চাঁদপুর জেলা সদরে ভাল কোন বিনোদন কেন্দ্র নেই। একমাত্র তিন নদীর মোহনাই মানুষের সময় কাটানোর স্থান। যে কারণে নদীর অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে ভ্রমন পিপাসুরা এখানেই ছুটে আসে। করোনার বিধি-নিষেধ তাদেরকে আটকে রাখতে পারেনি। শুক্রবার ঈদের দিনেও ভীড় ছিলো মোলহেডে।
ফরিদগঞ্জ উপজেলা থেকে ঘুরতে আসা সাইফ উদ্দিন জানান, আমি দুপুরে বড় স্টেশনে আমার পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসি। মোলহেডে ত্রীনদী মোহনার দৃশ্য, চরাঞ্চলে ট্রলারে করে ঘুরেছি।
জাহিদ পাটওয়ারী নামের এক ব্যাংকার জানায়, আমি প্রতি বছরই ঈদে মোলহেডে পরিবার নিয়ে আসি। কারন সবসময় কাজের চাপে ঢাকা থাকতে হয়। তবে চাঁদপুরে কয়েকটি বিনোদন কেন্দ্র প্রয়োজন।
তবে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ গত ৪ মাস পূর্বে যোগদানের পর কয়েকটি কাজের উদ্যোগ নিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে শহরের বাসস্ট্র্যান্ড এলাকায় বিনোদনের জন্য শিশু পার্ক নির্মাণ।
সিনিয়র স্টাফ করেসপন্ডেট,১৫ মে ২০২১