চাঁদপুরে কমেছে ইলিশের আমদানি। বাজারে ক্রেতা থাকলেও মাছের সরবরাহ কমায় দামও চড়া। এ সুযোগে বাজারে আসছে হিমায়িত ইলিশ। মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে ২১ দিন আগে। ওই সময়ে চুরি করে ধরা ইলিশ চরাঞ্চলে হিমায়িত করে রেখে এখন তা বাজারে পাঠানো হচ্ছে। চাঁদপুর বড় স্টেশন ঘুরে এমন অবস্থা দেখা যায়। হিমায়িত এসব বড় ইলিশ প্রতিমণ পাইকারি দরে বিক্রি হচ্ছে ৩৮ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকায়।
১৮ নভেম্বর শুক্রবার সকালে চাঁদপুর বড় স্টেশন মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ঘুরে দেখা যায়, ছোট ছোট নৌকাযোগে আনা ইলিশ ওঠানো হচ্ছে আড়তে। তবে ইলিশগুলো তাজা নয়। চাঁদপুর সদর, হাইমচর উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু দিন আগে শিকার করে মাছগুলো ফ্রিজিং করে রাখা হয়। মাছগুলো আড়তে আনার পর ডাকে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি ইলিশ এক থেকে দেড় কেজি ওজনের। প্রতিমণ ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৩৮ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকায়।
ব্যবসায়ীরা জানান, অভিযানের সময় মাছগুলো ধরা হয়েছে। চরাঞ্চলে বিদ্যুৎ সুবিধা থাকার কারণে ওই এলাকায় তখন ইলিশ মাছ ফ্রিজিং করে রাখা হয়। অভিযান শেষে প্রায় প্রতিদিনই অল্প অল্প করে ওই ইলিশ মাছগুলো বাজারে আনা হচ্ছে। দামও ভালো পাওয়া যাচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতি বছরই এ সময় ইলিশ খুব একটা পাওয়া যায় না। কারণ, ইলিশের মূল সিজন জুল-জুলাই থেকে শুরু হয় এবং প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ে অক্টোবর পর্যন্ত।
চাঁদপুর বড় স্টেশন মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সবে বরাত সরকার বলেন, মাছের আমদানি নেই বললেই চলে। চাঁদপুর নদী অঞ্চলের এক কেজি থেকে ১২শ’ গ্রাম ওজনের কিছু লোকাল মাছ আছে, সেগুলো প্রতি কেজি ১৩শ’ থেকে ১৪শ’ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর ৭শ’-৮শ’ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯শ’ থেকে এক হাজার টাকা দরে।
হিমায়িত মাছ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিছু ফ্রিজিং করা মাছ বাজারে আছে। আগে যখন দাম কম ছিল তখন হয়তো ব্যবসায়ীরা মাছগুলো কিনে রেখেছিলেন। আবার অন্য সময় ধরা মাছও হতে পারে- এটি সঠিক বলতে পারছি না।
উল্লেখ্য, মা ইলিশ রক্ষায় গত ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত নদীতে মাছ ধরা নিষিদ্ধ ছিল। ওই সময়ে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন স্থানে মাছ শিকার করে জেলেরা। ওই সময় কোস্টগার্ড, নৌপুলিশসহ টাস্কফোর্সের অভিযানে ধরা পড়েন বিপুল সংখ্যক জেলে। জব্দ করা হয় জাল, নৌকা ও মাছ।
স্টাফ করেসপন্ডেট, ১৯ নভেম্বর ২০২২
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur