Home / চাঁদপুর / চাঁদপুরের বাজারগুলোতে মেয়াদোত্তীর্ণ ও নকল পণ্যে সয়লাব
চাঁদপুরের বাজারগুলোতে মেয়াদোত্তীর্ণ ও নকল পণ্যে সয়লাব

চাঁদপুরের বাজারগুলোতে মেয়াদোত্তীর্ণ ও নকল পণ্যে সয়লাব

চাঁদপুরে ছোট-বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের সাথে মিল রেখে নামে বেনামে ভেজাল পণ্যে সাজানো হয়েছে । নামীদামী ব্রান্ডের পণ্যের রং মিল ও অল্প পার্থক্য রেখেই পণ্য বাজারজাত করছে একটি অসাধু চক্র।

শনিবার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে মেয়াদোত্তীর্ণ, বিএসটিআই অনুমোদন নেই, নামে বেনামের পণ্যে সাজানো দোকানগুলোর দৃশ্য দেখা যায়।

চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের (আরএমও) ডা. বেলায়েত হোসেন বলেন, যে কোনো কিছুরই নির্দিষ্ট সময় বা মেয়াদ থাকে। তাই মেয়াদোত্তীর্ণ কোনো খাবারই খাওয়া ঠিক নয়। মেয়াদোত্তীর্ণ খাবার পেটে গিয়ে আলসার, ডায়রিয়াসহ শরীরের বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করে থাকে।

একটু লক্ষ্য করলেই শহর, গ্রাম, পাড়া-মহল্লার দোকানগুলোতে সকলে দেখতে পারবেন। অবৈধভাবে পণ্য বিক্রি করে ভুয়া অনুমোদনের নাম দেখিয়ে সরকারের কোটি কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে যাচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ী চক্রটি। তাহলে কি মনে হয় না দেখার কেউ নেই?

গত ৮ ডিসেম্বর ২০১৫ মঙ্গলবার ডিবি পুলিশ শহরের পুরাণবাজার ডিগ্রি কলেজ সংলগ্ন একটি ভেজাল পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান থেকে মোঃ মুরাদ বেপারী (২৪), মোস্তফা গাজী (৫১) ও হায়াতুল ইসলাম আলম বেপারীকে (৩৫) আটক করে। পরে দুপুর ১টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিদর্শন করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চৌধুরী আশরাফুল করিম। তিনি তাৎক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য আইনে মুরাদ বেপারিকে ২ বছর, হায়াতুল ইসলাম আলম বেপারিকে ১ বছর ও মোস্তফা গাজীকে ৩ মাসের বিনাশ্রম সাজা প্রদান করেন। পরে স্থানীয়দের উপস্থিতিতে ভেজাল পণ্যগুলো পুড়িয়ে ও মাটিচাপা দিয়ে বিনষ্ট করে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে আরও দুটি গোডাউন ভর্তি অবৈধ মালের সন্ধান পাওয়া যায় এবং গোডাউন দুটি সিলগালা করে।

শহরের নতুনবাজার এলাকার নারায়ণ স্টোরসহ কয়েকটি দোকানে ভ্রাম্যমাণ আদালত মেয়াদোত্তীর্ণ ও ভেজাল পণ্য বিক্রয় করাতে প্রতিষ্ঠান গুলোকে জরিমানা করে। পুরানবাজার এলাকা ও সদর উপজেলার মৈশাদী এলাকায় ভেজাল পণ্যের কারখানার সন্ধান ও পায় প্রশাসন। কিন্তুু তারপরও থেমে নেই অবৈধভাবে উৎপাদনকারী চক্রের তৎপরতা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক’জন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী জানায়, ব্র্যান্ডের পণ্য বিক্রয় করলে লাভ কম। কিন্তু নামিদামী ব্র্যান্ডের পণ্যের গায়ের রং, সাইজ ও নামে একটু অমিল করে তৈরি করা অন্য পণ্যটিতে লাভ বেশি হয়। তাই আমরা ব্রান্ডের পণ্যটির চেয়ে অন্য পণ্যটিকেই বেশি পছন্দ করি।

জেলা মাকেটিং অফিসার এন এম রেজাউল ইসলাম জানান, সম্প্রতি শহরের বড় স্টেশন ও বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রয় করায় কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়। পরে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্যগুলোকে সাধারণ জনগণের উপস্থিতিতে আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়। খাদ্যে ভেজাল, মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য, অস্বাস্থ্যকর ও বিএসটিআই অনুমোদন নেই। এ সকল বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।

মাজহারুল ইসলাম অনিক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চাঁদপুর টাইমস

|| আপডেট: ০৪:১৫ অপরাহ্ন, ০৫ মার্চ ২০১৬, শনিবার

এমআরআর