Friday, 24 April, 2015 7:20:39 PM
দেলোয়ার হোসাইন :
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের কৃষকরা এ বছর হাসিমুখে বোরো ধান কেটে ঘরে তুলতে পারছেন না। বোরো আবাদে কৃষকদের অজানা ১টি রোগ মহামারী আকার ধারণ করায় এ বিপত্তি ঘটেছে। প্রকৃতিনির্ভর এ ফসলটি নিয়ে কৃষকের পড়েছে মাথায় হাত।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ব্রি-ধান ২৮ এবং ব্রি-ধান ২৯ জাতের ধানের ক্ষেত মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেকটা মোটা চাউল জাতের এক প্রকৃতির ধান (স্থানীয় কৃষকদের ভাষায় বলেঙ্গা ধান) রোগে আক্রান্ত না হলেও বাকি প্রায় সকল জাতের ধান এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে। উপজেলার প্রায় সব এলাকাতেই এই রোগ মহামারী আকারে দেখা দেয়ায় বোরো আবাদের উৎপাদন লক্ষ্য মাত্রা অর্জন ভেস্তে যাবে।
কোনো কৃষককেই এবার হাসিমুখে ফসল কেটে ঘরে তুলতে পারছেন না, তাদের দাবি ‘ক্ষেতের সব ধান মরে গেছে, আমরা ধান কাটার খরচটাও পাব না। আমরা কৃষক মানুষ আমাদের ইনকামের আর কোন পথ নেই। এই আবাদে আমরা বিরাট মাইর খাইছি। হাতের টাকা খরচ করে বোরো ধান লাগিয়েছি।’ কেউবা ঋণ করে আবাদ করেছে। পুরো আবাদই নষ্ট হওয়ায় এখন তাদের আর কোন উপায় নেই। বিশেষ করে প্রান্তিক কৃষক ও বর্গাচাষীরা পড়েছেন মহা বিপাকে।
ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া অনেক কৃষকের সাথে আলাপকালে জানা যায়, রোগটি আশা শুরু হলে তারা বুঝতে পারে এটি একধরনের রোগ, কিন্তু প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ কিংবা রোগের ধরণ সম্পর্কে অভিজ্ঞতা না থাকায় এর প্রতিকার তারা খুঁজে পাননি। এছাড়া একাধিক কৃষকরা অভিযোগ করে জানিয়েছেন, তাদের অঞ্চলের কৃষি অফিসার কে তারা অনেকেই জানেন না, আবার অনেকে বিষয়টিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসেবে ধরে নিয়ে কোন অভিযোগ করতে রাজি হননি।
কৃষকদের অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করতে এবং এ বছর বোরো ফসলের লক্ষ্যমাত্রা সম্পর্কে জানতে ফরিদগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার আবু তাহেরের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হতে হয়।
চাঁদপুর টাইমস : এমআরআর/ডিএইচ/২০১৫
নিয়মিত আপনার ফেসবুকে নিউজ পেতে লাইক দিন : https://www.facebook.com/chandpurtimesonline/likes