চাঁদপুরের সাতটি উপজেলায় তিন হাজার দুইশ ৩৪ জন ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মীদের নিরানন্দের ঈদ। সারাদেশে ঈদ আনন্দ বেদনায় পরিনত হচ্ছে ২ লক্ষাধিক ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচীর আওতায় কর্মরত যুবক ও যুব মহিলাদের। ১-৪ পর্বের লক্ষাধিক চাকুরীচ্যুতরা আজ দিশেহারা। তাদের ঈদ এখন নিরান্দের। ৫-৭ পর্বের চাকরিজীবীরা আছেন শঙ্কায়।
জেলার ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মীদের দাবি, তাদের এই বেকারত্বের অভিশাপ মুক্ত করে চাকরি স্থায়ীকরণের।
জেলার হাইমচর উপজেলার ন্যাশনাল সার্ভিসের চাকুরীচ্যুত কর্মী মো: মাসুম বিল্লাহ্ জানান, বেকারত্বের অভিশাপ নিয়ে বেঁচে আছি। সন্তান ও পরিবার পরিজনকে নিয়ে কষ্টে জীবনযাপন করছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একটু সুদৃষ্টি দিলেই আমরা আমাদের হারানো চাকুরী ফিরে পেতে পারি।
ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মী ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল সার্ভিস একতা পরিষদের সমন্বয়ক মো: মনজুর আলম জানান, আমরা এখন একটু ভালোভাবে ঈদ উদযাপন করছি। কিন্তু ক্ষণ গুণছি কখন চাকরী চলে যায়। আবার সেই পুরনো হতাশা ঘিরে ধরবে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আশা করি আমাদেরকে হতাশায় ফেলবেন না।
জানা গেছে, চাঁদপুরে মোট ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মী ৩ হাজার ২ শত ৩৪ জন। তম্মধ্যে ৪র্থ পর্বের হাইমচর ব্যতীত হাজীগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ, শাহরাস্তি, মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ, কচুয়া উপজেলায় ৫ম, ৬ষ্ট ও ৭ম পর্বে কর্মসূচী চলমান রয়েছে। চাঁদপুর সদর উপজেলায় এখনও চালু হয়নি। ৮ম পর্বে চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ শামসুজ্জামানের সাথে কথা হয় এই বিষয়ে। তিনি জানান, ২ বছর দক্ষতার সহিত কর্ম করার পর যদি পুনরায় একই কর্মস্থলে ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মীদের নিয়োগ দেয়া হয় তাহলে সরকার দক্ষ জনশক্তির সুফল পাবে।
প্রতিবেদক- মনিরুজ্জামান বাবলু
৪ জুন ২০১৯