চাঁদপুর

চাঁদপুরের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলে ৩০ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন

চাঁদপুরের উপজেলা ও পৌরসভায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ এ বছর ৩০ কোটি ৮০ লাখ টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে । পল্লী এলাকায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন প্রকল্পের আওতায় গভীর নলকূপ স্থাপন ও অন্যান্য প্রকল্পের আওতায় এ প্রকল্পগুলো ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে বাস্তবায়ন করছে ।

চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ, শাহরাস্তি ও কচুয়া উপজেলায় ১ হাজার ২ শ’ ৮০টি গভীর নলকূপ স্থাপন করার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যেই ১ হাজার ২ শ’৬০ টি স্থাপিত হয়েছে।

এতে ব্যয় নির্ধারণ রযেছে শাহারাস্তির দক্ষিণ সুচিপাড়ায় ২ কোটি ২৫ লাখ ২৭ হাজার টাকা,
উত্তর সুচিপাড়ায় ২ কোটি ২০ লাখ ৫৮ হাজার টাকা,কচুয়ার সহদেবপুরে ২ কোটি ২৬ লাখ ১২ হাজার টাকা এবং কচুয়ার উত্তর গো-হাটে ২ কোটি ৮ লাখ ২৬ হাজার টাকা ।

প্রতিটি গড়ে ৮০ হাজার টাকা ব্যয়ে ২ শ’২৬ মিটার গভীর নলকূপ। এতে প্রতিটি নলকূপ থেকে অন্তত:১শ’ জন আর্সেনিকমুক্ত পানি ব্যবহারের সুযোগ পাবে ।

৩৭ জেলা শহর প্রকল্পের অধীনে চাঁদপুর পুরাণবাজার ভূ-গর্ভূস্থ পানি শোধনাগারটির কাজ প্রায় ৯৭% সম্পন্ন হয়েছে । এতে ব্যায় নির্ধারণ রয়েছে- ৯ কোটি ৯৯ লাখ ৯৮ হাজার টাকা , চাঁদপুর নতুন বাজার ভূ-গর্ভূস্থ পানি শোধনাগারটির কাজ ৭৮% সম্পন্ন হয়েছে। এতে ব্যায় নির্ধারণ রয়েছে- ৯ কোটি ৯৯ লাখ ৯৩ হাজার টাকা ও নতুন বাজার উচ্চ জলাধার নির্মাণ কাজ ৬০% সম্পন্ন হয়েছে । এতে ব্যায় নির্ধারণ রয়েছে- ২ কোটি ৪৯ লাখ ১৬ হাজার টাকা ।

পিইডিপি-৩ প্রকল্পের আওতায় চাঁদপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ৩ শ’ ৭৪টি ওয়াস ব্লক বা স্যানিটারি ল্যাট্রিন নির্মাণের কাজ ৬৫ % সম্পন্ন হয়েছে । জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের
ব্যবহারের জন্য প্রতিটি ল্যাট্রিন ৬ কক্ষ বিশিষ্ট হবে।

এ প্রকল্পের আওতায় ৭ শ’৯৮ টি গভীর নলকূপ স্থাপনের কাজ ইতোমধ্যেই শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে । যার ফলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় দু’লাখ শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে এসে আর্সেনিকমুক্ত পানি পান করার সুযোগ পাবে।

পল্লী এলাকার আর্সেনিকমুক্ত পানি সরবরাহ প্রকল্পের অধীনে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় চলতি বছর আরো ৩ শ’১৩ টি গভীর নলকূপের কাজ শুরু করার আদেশ রয়েছে ।

চাঁদপুরের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী আবদুস ছাত্তার চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘প্রকল্পগুলো পুরো বাস্তবায়ন হলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হাজার হাজার শিক্ষার্থী আর্সেনিকমুক্ত পানি পান করার এবং স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন ব্যবহারের সুযোগ পাবে। স্কুলগুলোর স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ বজায় থাকবে । বিভিন্ন উপজেলায় মানুষের বিশুদ্ধ পানির অভাব আর থাকবে না। পৌরসভার পানি শোধনারগুলো পৌরবাসীর পানির চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবে ।’

: আপডেট বাংলাদেশ সময় ১১:০০ এএম, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬, রোববার
ডিএইচ

About The Author

প্রতিবেদক-আবদুল গনি
Share