চাঁদপুর সদর

চাঁদপুরের চাপিলায় চরম দুর্ভোগে শিক্ষার্থীসহ শতাধিক পরিবার

চাঁদপুর সদর উপজেলার ৯ নং বালিয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডস্থ চাপিলা গ্রামের চাপিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একমাত্র রাস্তাটির বেহাল দশায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে গ্রামের শতাধিক পরিবার ও কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।

প্রতিদিন কাদা পানির ভেতর দিয়ে চলাচলা করছে গ্রামবাসী।

বিশেষ করে বিদ্যালয়টির প্রায় তিন শতাধিক ছাত্রÑছাত্রী ও মসজিদের মুসল্লিরা এবং এলাকাবাসি আসা যাওয়া করতে গিয়ে যাতায়াতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
ওই গ্রামে গিয়ে দেখা যায় চাপিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে শুরু করে পাটওয়ারী বাড়ি কালর্ভাট পর্যন্ত কাঁচা রাস্তার বিভিন্ন স্থানে ছোট বড় অনেক গর্ত সৃষ্টি হয়েছে । ওইসব গর্ত এবং গর্তের বাহিরে বৃষ্টির পানি জমে প্রচুর কাঁদা পানিতে একাকার হয়ে আছে। কিছু কিছু অংশে পানিও জমে রয়েছে ।

এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা জানায় দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে রাস্তটি এমন বেহাল দশায় পড়ে আছে। বর্ষা মৌসুমে রাস্তার উপর হাটু পরিমান পানি জমে থাকে। তখন পানি ডিঙ্গিয়ে গ্রামবাসীকে চলাচল করতে হয়।

রাস্তাটির এমন পরিস্থিতির কারণে ওই রাস্তাটি দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে অনেকেই দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে তাদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধ লোকের সংখ্যাই বেশি।

এলাকাবাসি আরো জানান ১৯৯২ সালে আ. লতিফ মিয়া ও মরহুম সিরাজুল ইসলাম জমি দিয়ে তাদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে চাপিলা বিদ্যালয়টি নির্মান করেন।

পরবর্তীতে ২০০০ সালে বিদ্যালয়টি সরকারি তালিকায় নামকরণ করা হয়। কিন্তু বিদ্যালয়টি সরকারি করা হলেও বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের যাতাযাতের জন্য রাস্তাটির কোন সংস্কার করা হয়নি।

এ রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন বিদ্যালয়ের প্রায় তিন শতাধিক ছাত্র ছাত্রী যাতায়াত করে থাকে। এছাড়াও বিদ্যালয়ের পাশে চাপিলা জামে মসজিদ ও চাপিলা ঈদ গাঁ রয়েছে ।

প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করার জন্য বিভিন্ন বাড়ির লোকজন মসজিদে আসা যাওয়া করতে হয়।

কিন্তু রাস্তাটির করুন পরিনতি থাকায় ওই গ্রামের লোকজনকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। রাস্তাটির দ্রুত সংস্কার ও মেরামত করে ভোগান্তি থেকে রক্ষা পেতে চায় স্থানীয়রা।

তাই এমন দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে রাস্তাটির উন্নয়ন কাজের জন্য সাবকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডাঃ দীপু এমপিসহ সংশ্লিষ্ট কৃর্তপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।

: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০৬:০০ এএম, ০৯ অক্টোবর ২০১৬, রোববার
ডিএইচ

About The Author

প্রতিবেদক- কবির হোসেন মিজি
Share