Home / উপজেলা সংবাদ / চাঁদপুরের চান্দ্রা ইউপি চেয়ারম্যানের প্রকল্প দুর্নীতি
চাঁদপুরের চান্দ্রা ইউপি চেয়ারম্যানের প্রকল্প দুর্নীতি

চাঁদপুরের চান্দ্রা ইউপি চেয়ারম্যানের প্রকল্প দুর্নীতি

চাঁদপুর সদর উপজেলার ১২নং চান্দ্রা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইউছুফ খান (কেরানীর) বিরুদ্ধে এলজিএসপির প্রকল্পের টাকা আত্বসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে। পূর্বের বাস্তবায়িত প্রকল্প নতুন করে বাজেট দেখিয়ে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেওয়ার গুরুতর অভিযোগের সত্যতা মিলেছে।

কয়েকদিন অনুসন্ধান করে বেশ কিছু দূর্নীতির সচিত্র প্রতিবেদন ফুটে ওঠেছে। উল্লেখযোগ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে ২০১৩-২০১৪ ও ২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরের এলজিএসপি এবং ১% এর যে সকল প্রকল্পের নামে সরকারি অর্থ সঠিকভাবে ব্যয় না করে চেয়ারম্যান নিজেই এই অর্থ আতসাৎ করেছেন।

কাগজে-কলমে হিসাব ঠিক রেখে সবার চোখে ধূলো দিয়ে জনগণের টাকায় নিজের পকেট ভারি করেছেন।

এছাড়া তার বিরুদ্ধে অস্বচ্ছ পন্থায় চাঁদপুর, ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় নামে বেনামে সম্পত্তি কেনারও অভিযোগও আছে।

চান্দ্রা ইউনিয়নের বেশ কয়েকজন মেম্বার ও এলাকাবাসী প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের গত ৪ বছরে এলজিএসপি ও ১% এর প্রকল্পে যেসব কাজ করা হয়েছে তার প্রায় ৩০ থেকে ৪০ ভাগ চেয়ারম্যান নিজের একাউন্টে রেখে বাকি টাকা ঠিকাদারকে প্রদান করেছেন। ।

নির্দিষ্ট অভিযোগের মধ্যে রয়েছে, ২০১৩-২০১৪ অর্থ বছরের এলজিএসপির অর্থায়নে চান্দ্রা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে বসু বরকন্দাজের বাড়ির পাশে পুকুরের গাইড ওয়াল নির্মান করা হয়। ওই ওয়ার্ডের মেম্বার আলমগীর মিজি নিজেই তদারকি করে কাজটি সম্পন্ন করেছেন। একই কাজ ২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরে এলজিএসপির নতুন প্রকল্প দেখিয়ে সম্পন্নকৃত কাজের পুনরায় ভাউচার করে সে টাকা চেয়ারম্যান আত্মসাৎ করেছেন।

একই কাজ দু’অর্থবছরে দু’ভাগে উত্তোলন করে কাগজে কলমে ঠিক রেখে আত্মসাৎ করায় প্রতারণা করেও নির্দিষ্ট বিভাগের তিনি স্বচ্ছ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে।

এছাড়া এসব তথ্য উদঘাটনের জন্য প্রতিবেদক, ইউনিয়নের এলজিএসপি ও ১% এর প্রকল্প কাজের তালিকা চেয়ারম্যানের কাছে চাইলে তিনি এ ৪ দিন পর তা দিয়েছেন।

প্রতিবেদক এই চার দিনে সরেজমিনে গিয়ে অনুসন্ধান করে জানতে পারে চেয়ারম্যান ইউছুফ খান ও তার অপকর্মের প্রধান হোতা ইউপি সচিব আবুল কালামকে সাথে নিয়ে রাতের আঁধারে পুনরায় বাস্তবায়িত ২০১৩-২০১৪ অর্থ বছরের প্রকল্প ২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরের প্রকল্পের নামে ফলক এনে তড়িগড়ি করে লাগিয়ে দেয়।

এ ব্যাপারে গত শনিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে ৪নং ওর্য়াডের মেম্বার আলমগীর জানায়, “এই ওয়ার্ডের বসু বরকন্দাজের বাড়ির পুকুরের রাস্তার পাড়ের দুটি জায়গায় গাইড ওয়াল ২০১২ ও ২০১৩ সালে করা হয়েছে। ৩ বছর আগের পুরনো কাজ হঠাৎ করে চেয়ারম্যান মহোদয় ২দিন পূর্বে নতুন করে ২০১৪-২০১৫ প্রকল্পের নামফলক এনে লাগিয়ে দিয়েছেন। কি কারনে এই লুকোচুরি তা আমার জানা নেই।”

এব্যাপারে চেয়ারম্যান ইউছুফ খান জানান, তিনি অসুস্থ, যদি ভুলত্রুটি থাকেও তার নিকটতম লোকের মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করবে। আর পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য তিনি অনুরোধ জানান।

আশিক বিন রহিম, চীফ করেসপন্ডেন্ট

।।  আপডেট: ১১:৫৫ পিএম, ১৫ নভেম্বর ২০১৫, রোববার

ডিএইচ