চাঁদপুরের চাঞ্চল্যকর কোহিনুর হত্যা : ৬ জনকে আসামি করে মামলা

আশিক বিন রহিম | আপডেট: ০২:৪৮ অপরাহ্ণ, ২৪ আগস্ট ২০১৫, সোমবার

চাঁদপুর শহরের রমহতপুর আবাসিক এলাকায় চাঞ্চল্যকর কোহিনুর হত্যা মামলার অভিযুক্ত নয়ন বেগমকে এখানো আটক করতে পারেনি পুলিশ।

রোববার অভিযুক্ত নয়ন বেগমসহ ৬জনকে আসামি করে নিহত কোহিনুরের ভাই মো. সেলিম চাঁদপুর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। হত্যার ঘটনার জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে পুলিশ হেফাজতে থাকা অভিযুক্ত নয়নের দুই মেয়ে তিশা (১৭) ও তন্নি (১২)কে তার প্রথম স্বামী ইসহাকের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এদিকে ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের লাশ রহমতপুর আবাসিক এলাকায় জানাজা শেষে ফরিদগঞ্জের ভাটিয়ালপুর বাপের বাড়িতে দাফন করা হয়েছে।

রোববার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও নিহতের পরিবারের খোঁজ নিয়েছেন পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার। এসময় তিনি প্রায় দুই ঘণ্টা ওই স্থানে অবস্থান নেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্ত কাপড়সহ বেশ কিছু আলমত সংগ্রহ করেছে।

রোববার রাতে চাঁদপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আশ্রাফুজ্জামান চাঁদপুর টাইমসকে জানান, “এই ঘটনায় ৬জনকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং ৪১।”

তবে মামলার তদন্তের স্বার্থে বেশি কিছু জানায়নি পুলিশ।

প্রসঙ্গত, ২২ আগস্ট শনিবার রাতে প্রবাসী আব্দুল মান্নান খানের স্ত্রী ৩ সন্তানের জননী কোহিনুর বেগম(৪০) রহমতপুর আবাসিক এলাকার ৯০ নং ‘প্রতিজ্ঞা’ ভিলার মালিক নয়ন বেগমের বাসায় খুন হন। নিহতের গলাকাটা লাশ নয়ন বেগমের খাটের নিচে লুকানো অবস্থায় পুলিশ উদ্ধার করে। চাঁদপুর মডেল থানার পুলিশ লাশ ময়নাতদন্তের জন্যে থানায় নিয়ে যায়। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে পুলিশ অভিযুক্ত নয়ন বেগমের দুই মেয়ে তিশা (১৭) ও তন্নি (১২) কে থানা হেফাজতে নেয়।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, কোহিনুরের কাছ থেকে অভিযুক্ত নয়ন বেগমের প্রায় ৩ লাখ টাকা ধার নিয়েছেন। ৬দিন পূর্বে তার (কোহিনুর) প্রবাসী স্বামী আব্দুল মান্নান সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরে সেই টাকার খোঁজ নেয় এবং শনিবারের মধ্যে টাকা না দিলে তাকে ‘তালাক দেয়া হবে’ বলে জানিয়ে ঢাকা চলে যায়। এতে কোহিনুর বেগম ঘটনার দিন নয়নের বাড়িতে গিয়ে ৩ লাখ টাকার জন্য তাকে চাপ প্রয়োগ করে।

ধারণা করা হচ্ছে সেই টাকার জন্যই কোহিনুর হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার আরো ক’জন স্থানীয় বাসিন্দা জানায়, রাত সাড়ে ৭টার দিকে তারা একজন মহিলাকে রক্তাক্ত অবস্থায় ছেঁড়া কাপড় নিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যেতে দেখেছে।

এদিকে নয়ন বেগমের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর নানা অভিযোগ রয়েছে। অভিযুক্ত নয়ন বেগমের কাছে প্রায় বিভিন্ন সমিতির ৫৪টি লোনের (কিস্তির) বই রয়েছে। এছাড়া তিনি বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে একাধিক টাকা ধার নিয়েছেন। তাছাড়া বহু পুরুষের সাথে অভিযুক্ত নয়ন বেগমের শারীরিক সম্পর্কের বিষয় রয়েছে বলেও অনেকে জানিয়েছেন।

চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/এমআরআর/২০১৫

Share