চাঁদপুর

চাঁদপুরের ক্ষুদে ফুটবলারদের স্বপ্ন এখন জাতীয় দল

চাঁদপুর শিশু কিশোর ফুটবল একাডেমীর ক্ষুদে ফুটবলাররা উচু মানের ফুটবলার হওয়ার সপ্নে নিয়মিত ঘাম ঝরিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান সমাজের সর্বনাশা মাদক থেকে দূরে থেকে ক্রীড়া জগতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার চিন্তা থেকেই তারা ফুটবল একাডেমীর সদস্য হয়েছে ।

এ একাডেমীটি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহন করে চাঁদপুর জেলা ফুটবল দল ও জাতীয় পর্যায়ের সাবেক ফুটবলার ইউসুফ বকাউল। গতকাল বুধবার সড়জমিনে চাঁদপুর ষ্টেডিয়ামে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় অর্ধশতাধিক উঠতি বয়সের ক্ষুদে ফুটবলাররা প্রশিক্ষকের নির্দেশনা অনুযায়ি আন্তরিক মনোযোগ সহকারে ফুটবল খেলা আয়ত্ত্ব¡ করার বিভিন্ন কলা কৌশল শিখছে।

এসব ফুটবলারদের বয়স ১০ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে। গত ৩ বছর ধরে এই ক্ষুদেরা অনশিলন করে যাচ্ছে। তাদের সপ্ন তারা বড় হয়ে মেসি, নেইমার, রোনাল্ডোর মতো নামকরা ফুটবলার হবে। প্রতিষ্ঠাতা ও প্রশিক্ষক ইউসুফ বকাউলের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, একসময় বাংলাদেশে ফুটবল খেলার বেশ জনপ্রিয়তা ছিলো।

বর্তমানে সমাজের প্রতিটি পাড়া মহল্লায় মাদকের ভয়াবহতা যুব সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। এসব সামজিক অন্যায় ও অপকর্ম থেকে তরুণ প্রজন্মেরে খেলোয়াড়দের দুরে রাখার ভাবনা থেকেই গত ৩ বছর পুর্ব থেকে চাঁদপুর শিশু কিশোর ফুটবল একাডেমীর ক্ষুদে ফুটবলারদের নিয়ে তিনি কাজ শুরু করেন।

তার এ মহতি কাজের জন্য তাকে সার্বিক ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতা করছেন ক্রীড়া সংগঠক শাহির হোসেন পাটওয়ারী, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বাবু, ক্রীড়ানুরাগী রিপন পাটওয়ারী, তাইজ উদ্দিন বকাউল, মো: মিন্টু হাওলাদার সহ অন্যান্যরা। প্রশিক্ষক ইউসুফ বকাউল আরো জানান, বর্তমান চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক আব্দুস সবুর মন্ডল ও পুলিশ সুপার শামছুন্নাহার অত্যান্ত ক্রীড়াপ্রেমী হওয়ায় চাঁদপুরের ক্রীড়াঙ্গন অনেক উজ্জিবিত হয়ে উঠেছে।

প্রশাসনিক উদ্যোগে চাঁদপুরে প্রথমবারের মতো ক্রীড়া মাস উদযাপন করা হয়েছে। যা একটি বিরল দৃষ্ঠান্ত। তার ফুটবল জীবনে ক্রীড়া মাস কখনো দেখননি বলেও জানান।

এভাবে একের পর এক খেলাধুলা চলতে থাকলে যুব সমাজ মাদদ থেকে রক্ষা পাবে। তাছাড়া জেলা ফুটবল এসোশিয়েশানের নব কমিটির সভাপতি জিন্নাহ পাটওয়ারীও ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বাবু ক্রীড়ার উন্নয়নের জন্য নিবেদিত প্রান। এসব ক্রীড়ানুরাগিদের কারনে চাঁদপুর ষ্টেডিয়াম এখন বছরের সাড়ামাস বিভিন্ন খেলাধুলায় জমজমাট হয়ে থাকে। তিনি কিছুটা আবেগাপ্লত কন্ঠে জানান, চাঁদপুর শিশু কিশোর ফুটবল একাডেমীর এ খেলোয়াড়দের নিয়মিত মাঠে ধরে রাখার জন্য প্রশাসন ও স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের প্রষ্ঠপোষকতা পেলে অনেক দুর এগিযেযেত চাঁদপুরের ফুটবল অঙ্গন।

ফুটবল একাডেমীর বিষয়ে কথা হয় ক্রীড়ানুরাগী রিপন পাটওয়ারীর সাথে তিনি বলেন, মূলত যুব সমাজকে নেশা থেকে দুরে রেখে চাঁদপুরের ফুটবল অঙ্গন থেকে জাতিয় পর্যায়ে সুনাম বয়ে আনার জন্যই এ একাডেমীর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

একসময় এখান থেকেই বাংলাদেশের জাতীয় ফুটবল দলে খেলবে অনেকে তিনি এ প্রত্যাশা করেন। খেলোয়াড়দের সাথে আলাপকালে তারা উৎসাহ নিয়ে জানায়, প্রতিদিন তারা বিকাল ৩ টায় মাঠে আসে। তারা চায় নিয়মিত মাঠে ফুটল খেলতে এবং ভবিষ্যতে জাতীয় দলের হয়ে দেশের সুনাম অর্জন করতে।

Share