চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরে চাঁদপুর জেলার বিভিন্ন তফসিলি ও বেসরকারী ব্যাংক গুলোতে কৃষি ও দারিদ্র বিমোচন খ্যাতে ১’শ ৬ কোটি ৫৩ লাখ ৮১ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের আঞ্চলিক কার্যালয়ে সূত্রে জানা গেছে সোনালী ব্যাংক জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অবস্থিত ২০ টি শাখায় ১১ কোটি ৫২ লাখ টাকা, অগ্রণী ব্যাংকের ১৭ টি শাখায় ১৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা, জনতা ব্যাংকের ১৭ টি শাখায় ২০ কোটি ২৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ২৭ টি শাখায় ৭৬ কোটি ১০ লাখ, কর্মসংস্থান ব্যাংকের ৪ টি শাখায় ১০ কোটি ৩৯ লাখ ৭১ হাজার টাকা এবং রুপালী ব্যাংকে ২৭ লাখ ৬৬ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
এ বছর কৃষি উৎপাদন ও দারিদ্র বিমোচন খ্যাতে বরাদ্দের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশ অনুযায়ী এ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
এ ছাড়াও চাঁদপুর জেলা সদর ও বিভিন্ন উপজেলায় অবস্থিত এবি ব্যাংক লিমিটেড ২০ লাখ টাকা, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড ২৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা , ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড ২৫ লাখ টাকা, সিটি ব্যাংক লিমিটেড ৪০ লাখ টাকা, উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড ৬২ লাখ টাকা, পূবালী ব্যাংক লিমিটেড ২ কোটি টাকা, ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড ৫২ লাখ টাকা, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড ২ কোটি ১০ লাখ টাকা, মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেড ৫০ হাজার টাকা, প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড ৪০ লাখ টাকা এবং ইউনাটেড ব্যাংক লিমিটেড ৪০ লাখ টাকা কৃষি উৎপাদন খাতে ঋণ বিতরণ করবে।
এ বছর কৃষি উৎপাদন, দারিদ্র বিমোচন, ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা , ক্ষুদ্র কুটির শিল্প স্থাপন বা পরিচালনা এবং পল্ট্রি, গবাদী পশুর প্রতিপালন, যান-বাহন ক্রয়, নার্সারী পরিচালনা ও মৎস্য চাষে উপরোক্ত বরাদ্দকৃত অর্থ গ্রাহকদের মাঝে ঋণ হিসেবে বিতরন করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক সংশ্লিষ্ট ব্যাংক গুলোকে নির্দেশ দিয়েছে।
আসন্ন রবি মৌসুমে কৃষকরা নিকটস্থ ব্যাংক থেকে আলু, মরিচ, সরিষা, গম ও বোরো চাষে ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহন করতে পারবে।
গ্রণী ব্যাংকের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা চাঁদপুর টাইমসকে জানান, কৃষি উৎপাদনে জমি আছে এমন কৃষক ঋণের জন্য আবেদন করলে অবশ্যই তাকে ঋণ প্রদান করা হবে। স্থানীয় সবজী চাষীরাও শীতকালীন সবজী চাষে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে বাণিজ্যিক সবজি উৎপাদন করতে পারবে।
১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫, শুক্রবার
চাঁদপুর টাইমস- ডিএইচ/২০১৫।