নোয়াখালীর সদর উপজেলায় ডোবা থেকে চাঁদপুর শহরের পুরান বাজারের শাহনাজ আক্তার (১৮) বছর বয়সী এক যুবতীর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করেছে নোয়াখালির পুলিশ। ৩ বোন ১ ভাইয়ের মধ্যে শাহনাজ ছিল সবার বড়। তার পিতার নাম শাহ আলম।
সে চাঁদপুর শহরের প্রাণকেন্দ্র কালিবাড়ি মোড় এলাকার চাঁদপুর হোটেল এণ্ড রেস্টুরেন্টের প্রধান বাবুর্চি হিসেবে কাজ করে।
শাহ আলম জানায় তার মেয়ে শাহনাজ একটু মানসিক ভারসাম্যহীন। ৩ দিন আগে সে পুরান বাজারের বাড়ি থেকে আত্মিয়ের বাড়িতে বেড়াতে যায়। সেখানে গিয়ে সে নিখোঁজ হয়। সুধারাম থানা পুলিশ বুধবার শাহনাজের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে।রাতে পুলিশ শাহনাজের মোবাইল উদ্ধার করে সেই সিম থেকে আমাদের নাম্বার উদ্ধার করে কল করে শাহনাজের মৃত্যুর বিষয়ে জানায়।রাতেই আমরা সুধারাম থানায় গিয়ে শাহনাজের লাশ সনাক্ত করি।
সুধারাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নবীর হোসেন জানান,২৯ সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুর ১২টায় নোয়াখালি সদর উপজেলার ৩নং নোয়ান্নই ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের করমুল্যাহপুর গ্রামের একটি ডোবা থেকে পুলিশ বস্তা বন্দিবস্হায় শারমিনের মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। তবে তাৎক্ষণিক ওই যুবতীর নাম ঠিকানা জানা যায়নি।
পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। ৩০ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে সুধারাম থানা পুলিশ শাহনাজের লাশ তার পিতা শাহ আলমের কাছে হস্তান্তর করেছে।
ধারনা করা হচ্ছে শাহনাজকে ধর্ষনের পর দুর্বৃত্তরা গলাকেটে গলা কেটে হত্যা করে বস্তাবন্দি করে ডোবায় ফেলে দিয়েছে।
এ ব্যাপারে সুধারাম থানায় হত্যা মামলা করা হয়েছে।
প্রতিবেদক:মাজহারুল ইসলাম অনিক,১ অক্টোবর ২০২০