চাঁদপুর

চাঁদপুরে জমে উঠেছে শীতকালীন শাকসবজি

চাঁদপুরে কাঁচাবাজারগুলোতে শীতকালীন সবজির আমদানি বেড়েছে দামও কমতে শুরু করেছে, তাই বাজার অনেকটা জমে উঠেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে শীতকালিন শাকসবজি আসতে শুরু করেছে মৌসুম পুরোপুরি না থাকায় টমেটো ও নতুন আলুর দর কিছুটা বেশি। তবে তুলনামূলক গতবারের তুলনায় এবার সবজির দাম কিছুটা কম বলে দাবি করছেন খুচরা ও পাইকারী বিক্রেতারা।

তবে মৌসুমের শুরুতেই বিপণীবাগ পালের বাজার সবজির দোকানগুলোতে টমেটো আর নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে। শনিবার বাজার ঘুরে আমদানী ও বেচা-বিক্রি মোটামুটি ভালই দেখা গেছে।

গত কয়েক বছরের মত এবারও দেশে আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে দাম বেশি হওয়ার কারণ সম্পর্কে ব্যবসায়িরা জানান, বাজারে নতুন আলু, টমেটো ওঠতে শুরু করেছে। এখনো চাঁদপুর অঞ্চলের আলু আসতে শুরু করেনি।

শীতকালিন অন্যান্য সবজির দাম মোটামুটি হাতের নাগালেই আছে। চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে (নতুন) ৩৫-৪০, টমেটো ৩০-৪০, বেগুন ২৫-৩০, বাধা কপি প্রতিটি ২৫-৩০, ফুল কপি প্রতিটি ২৫-৩০, করলা ৩০, কাঁচা মরিচ ৬০-৭০, ধনিয়া পাতা ৪০-৫০, পুঁই শাক ৩০, পালং শাক ২০, গাজর ৩৫, পেপে ২৫-৩০, বরবটি ৪০-৪৫, শসা ২৫, খিরা ২৫-৩০, কুমড়া ২৫-৩০, লাউ প্রতিটি ২৫-৩০ টাকা ধরে বিক্রি হচ্ছে

সবজির মতো বিভিন্ন ধরনের শাকের আমদানিও বেড়েছে। দামও অনেকটা সহনীয় পর্যায়ে চলে এসেছে। লাল শাক বড় আটি ১৫/২০টাকা ও ছোট আটি ১০/১২ টাকা, ডাঁটা শাক বড় আটি ১৫/১৬ টাকা, ছোট আটি ৮/১০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।

গত বছরের হিসেবে দেখা গেছে এই সময় সিম কেজি প্রতি ৩৫-৪০টাকা, ফুলকপি ৫০/৫৫ টাকা, করলা ৫০-৫৫টাকা, কাঁচা মরিচ ৬০-৭০টাকা, বাঁধা কপি ৩০/৩৫ টাকা, বেগুন ৩৫-৪০ টকা, গাজর ৮০-৯০টাকা, লাউ আকারভেদে ৫০ থেকে ৭০টাকা, মূলা ১৫-২০টাকা, জলপাই ২৫-৩০ টাকা, ডাটা প্রতি আটি ২০-২৫ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। শালগম প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ লাল শাক বড় আটি ১৫-২০টাকা ও ছোট আটি ১০-১২ টাকা, ডাঁটা শাক বড় আটি ১৫-১৬ টাকা, ছোট আটি ৮-১০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল।

সবমিলিয়ে এ বছর এখনো পুরোপুরি আমাদানি না হলেও মূল্য অনেকাংশে কম রয়েছে। কোন ক্রেতাকেও শীতকালীন শাক-সবজি বাজার মূল্য নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়নি। তবে ফরমালিন বিষয়ে ক্রেতাদের মাঝে আতংক রয়েছে। ব্যবসায়ীদের দাবি এখন শাক-সবজিতে কোন প্রকার ফরমালিন দেয়া হচ্ছে না।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শহর ও শহরতলী এলাকার কয়েকটি বাজার ওয়ারলেছ, বাগাদী চৌরাস্তা, বাঘড়া, বাবুরহাটে শীতকালীন শাক-সবজির মূল্য বিপণীবাগ ও পালের বাজার থেকে কিছুটা বেশি রয়েছে। কোন কোন সবজি আবার চাঁদপুরের চরাঞ্চলে উৎপাদিত হওয়ায় গ্রামের এসব বাজারগুলোতে শহরের তুলনায় কম মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে।

বিপণীবাগের কাঁচা বাজার ব্যাবসায়ী ইমরান হোসেন জানান, ‘গতবারের তুলনায় শীতকালীন শাক-সবজির দাম কিছুটা হাতের নাগালে রয়েছে। এখনো পুরোপুরিভাবে আসতে শুরু করেনি। চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত পরিমান মাল যখন আমরা পাবো, তখনি দাম আরেকটু কমার সম্ভাবনা রয়েছে। ’

শরীফুল ইসলাম, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

|| আপডেট: ১০:০৭ পিএম, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৫, রোববার
ডিএইচ

Share