চাঁদপুরের ঐতিহ্যবাহী খাবার গরুর মাংসের শুঁটকি

গরুর মাংসে রয়েছে অনেক পুষ্টি উপাদান। তবে রেড মিট ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়া ভালো। অনেকে গরুর মাংসের শুঁটকি খেতে পছন্দ করেন। আজ আমরা জানাব, কীভাবে বাসায় সহজে ও স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে গরুর মাংসের শুঁটকি রান্না করবেন। এটি চাঁদপুরের ঐতিহ্যবাহী খাবার।

যে কোনও শুঁটকি রান্নার অন্যতম প্রধান উপাদান রসুন। আর রসুন থাকায় খাবারটি স্বাস্থ্যকর হয়ে যায়। বিশেষ করে গরুর মাংসে কিছু না কিছু ফ্যাট থাকেই। কোলেস্টেরল কম রাখার জন্য পুষ্টিবিদেরা খালি পেটে রসুন খেতে বলেন। এ রেসিপিতে রসুন ব্যবহার করা হয়েছে।

অনেকে আছে, গরুর মাংস খেতে খুব ভয় পায়। যাদের কোলেস্টেরল আছে, কার্ডিয়াক পেশেন্ট, তারা চাইলে এ খাবারটি মাঝেমধ্যে খেতে পারে। গরুর মাংস খুব বেশি খাওয়া ভালো নয়। আট-দশ দিনে এক-দুবার খাওয়া যেতে পারে। আর এ প্রসেসে যদি খাওয়া হয়, তাহলে ৮০ ভাগ ফ্যাট থাকবে না।

এনটিভির রান্নাবিষয়ক অনুষ্ঠান এক্সপার্ট টুডে’স কিচেন-এর একটি পর্বে গরুর মাংসের শুঁটকির রেসিপি দেওয়া হয়েছে। রেসিপিটি তৈরি করেছেন রন্ধনশিল্পী আনজুমান আহমেদ। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেছেন পুষ্টিবিদ নুসরাত জাহান দীপা। আসুন, আমরা জেনে নিই বাসায় সহজে গরুর মাংসের শুঁটকি রান্নার পদ্ধতি। তার আগে চলুন দেখে নিই কী কী উপকরণ লাগবে—

উপকরণ

পরিমাণমতো তেল, এলাচ, তেজপাতা, গোলমরিচ, লবঙ্গ, দারচিনি, রসুন কুচি, রসুন বাটা,আদা বাটা, ধনিয়া গুঁড়ো,মরিচ গুঁড়ো, জিরা গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, পরিমাণমতো পানি, গরুর মাংসের শুঁটকি, পেঁয়াজ কুচি, কাঁচামরিচ কুচি, গরম মসলার গুঁড়ো।

প্রস্তুত প্রণালি

প্রথমে সসপ্যানে তেল দিন। এতে এলাচ, তেজপাতা, গোলমরিচ, লবঙ্গ, দারচিনি ও রসুন কুচি দিয়ে হালকা করে ভাজুন। বাটিতে রসুন বাটা, আদা বাটা, ধনিয়ার গুঁড়ো, জিরার গুঁড়ো, মরিচের গুঁড়ো, হলুদের গুঁড়ো ও পানি দিয়ে গুলিয়ে ফ্রাইপ্যানে ঢেলে দিন। এতে গরুর মাংসের শুঁটকি ও গরম পানি দিয়ে ভালোভাবে কষিয়ে নিন।

কষানো হলে রসুন কুচি, পেঁয়াজ কুচি, চিচিঙ্গা কুচি, পানি ও লবণ দিয়ে ঢেকে রান্না করুন। সবশেষে কাঁচামরিচ কুচি ও মিশ্রিত গরম মসলার গুঁড়ো দিয়ে কিছুক্ষণ দমে রেখে নামিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার গরুর মাংসের শুঁটকি। এ রেসিপিটি সহজে প্রস্তুত করতে ও রন্ধন প্রণালি সম্পর্কে জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওটিতে ক্লিক করুন।

বার্তা কক্ষ, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

Share