চাঁদপুরে পেঁয়াজ-রসুনের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ১০ হাজার মে.টন

দেশের অন্যতম নদীবিধৌত কৃষি প্রধান অঞ্চল চাঁদপুর। মেঘনা, পদ্মা, মেঘনা ধনাগোদা ও ডাকাতিয়া নদী এ জেলা ওপর দিয়ে বয়ে যাওযায় রবি, আউস,আমন ও বোরোর মত কৃষি উৎপাদনে নদী অববাহিকায় ও জেলার চরাঞ্চলে ব্যাপক উৎপাদন হয়ে থাকে। এমই ভাবে চাষাবাদ হয় পেয়াঁজ-রসুন। ২০২৫- ২০২৬ বছরে চাঁদপুরে পেঁয়াজ-রসুনের চাষাবাদ হয়েছে ১ হাজার ১শ ৫৪ হেক্টর। আর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ১০ হাজার ৯শ ৮০ মে.টন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামার বাড়ি চাঁদপুরের সূত্র মতে, চাঁদপুরের ৮ উপজেলায় এবার পেঁয়াজ-রসুনের চাষাবাদ হয়েছে ১ হাজার ১ শ ৫৪ হেক্টর জমিতে এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ হাজার ৯শ ৮০ মে.টন। এর মধ্যে পেঁয়াজ চাষাবাদ হয়েছে ৭ শ ৮৯ হেক্টর ও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ হাজার ৯ শ ৫৩ মে.টন এবং রসুন চাষাবাদ হয়েছে ৩ শ ৬৫ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ৩০ মে.টন। চাঁদপুরে অনেক গুলো চর রয়েছে, এ চরাঞ্চল গুলোতে ব্যাপকহারে পেঁয়াজ- রসুন চাষ হয়ে থাকে। চরাঞ্চলগুলো হলো- মতলবের চরইলিয়ট, চর কাসিম, ষষ্ট খন্ড বোরোচর, চাঁদপুর সদরের, রাজরাজেস্বর, লগ্নিমারা, জাহাজমারা, বাঁশগাড়ি, চিড়ারচর, ফতেজংগপুর, হাইমচরের ঈশানবালা, চরগাজীপুর, মনিপুর, মধ্যচর,মাঝিরবাজার, সাহেব বাজার ও চরভৈরবির বাবুরচর। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামার বাড়ি চাঁদপুরের সূত্রে জানা গেছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামার বাড়ি চাঁদপুরের একজন কৃষিবিদ জানান, চাঁদপুরে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ-রসুন চাষাবাদ ও উৎপাদন হয়ে থাকে হাইমচরের চরাঞ্চলে, যা জেলার অর্ধেকেরও বেশি। চাঁদপুরের এসব চরগুলো দেশের অন্যতম নদীবিধৌত কৃষি প্রধান অঞ্চল। মেঘনা,পদ্মা, মেঘনা ধনাগোদা ও ডাকাতিয়া নদী এ জেলা ওপর দিয়ে বয়ে যাওযায় রবি,আউশ,আমন ও বোরোর মত নদী অববাহিকায় ও জেলার ১১ চরাঞ্চলে ব্যাপক হারে পেঁয়াজ-রসুন চাষাবাদ করে জেলায় উৎপাদনের বিপ্লব ঘটাতে পারে। আমরা আশা করি আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে। বিশেষ করে চাঁদপুরের চরাঞ্চলে পেঁয়াজ- রসুনসহ শাক-সবজি ব্যাপকভাবে চরবাসীরা চাষাবাদ করে থাকে। নারীরাই এসব কৃষিপণ্য উৎপাদনে প্রধান ভূমিকা পালন করে থাকে।

প্রতিবেদক: অবদুল গনি/
৭ ডিসেম্বর ২০২৫