চাঁদপুর শহরের আবাসিক হোটেলগুলোতে অনৈতিক কর্মকান্ড কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের একাধিক অভিযান ও মালিক পক্ষের সাথে বৈঠক হলেও অনৈকিত কাজ কিছুকেই বন্ধ হচ্ছে না।
উল্টো শহরের বেশ কিছু হোটেলে মিনি পতিতালায় ও জমজমাট মাদক এবং জুয়ার আড্ডাখানা বানানো হচ্ছে। অপরদিকে বহিরাগত মাদক বিক্রেতা ও অপরাধিরা এসব হোটেল ভাড়া করে নিরাপদে তাদের অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
চাঁদপুরের গোয়েন্দা পুলিশ ও মডেল থানার পুলিশ বেশ কিছু অভিযানে একাধিক মাদক ব্যবসায়ী, বহু মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী ও পতিতাদের আটক করেছে। কিন্তু হোটেল মালিকরা সচেতন না হওয়ায় কিছুতেই এসব বন্ধ হচ্ছে না।
হোটেল গুলোতে গোয়েন্দা পুলিশের নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে ১৯ মার্চ রোববার দিনগত রাতে শহরের চৌধুরীঘাট এলাকার শ্যামলী আবাসিক হোটেল থেকে ১শ’ ৪পিচ ইয়াবাসহ ৪জনকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন, সুনামগঞ্জ জেলার রাধানগর এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে আ. রহমান (৩২), একই জেলার নোয়াগাঁও গ্রামের দিলদারের ছেলে ইজবর (২২), গোপালগঞ্জ জেলার কোতালী উপজেলার সীতাইকুন্ড এলাকার মৃত. জব্বার মিয়ার ছেলে কামাল মিয়া (৫২) ও কুমিল্লা জেলার হোমনা উপজেলার জয়নগরের জলিলের ছেলে মাসুম (৩২)।
এ বিষয়ে গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, শহরের চৌধুরীঘাট এলাকার শ্যামলী আবাসিক হোটেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এস আই আহসানুজ্জামান লাবু ও সংঙ্গীয় ফোর্স অভিযান চালায়। এসময় হোটেলের একটি কক্ষ থেকে তিন জেলার ৪ ব্যাক্তির দেহ তল্লাশী করে ১শ’ ৪পিচ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয় এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়।
এর আগে গত ৬ মার্চ কুমিল্লার সীমান্ত এলাকার ‘মাদক স¤্রাট’ মোঃ জলিল, ওরপে ভাগিনা ও ছাগল জলিল (৩৩) কে আটক করে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ।
ওদিন সকালে চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ওয়ালী উল্ল্যাহ, এস আই ত্রিনাথ সাহা ও এসআই অনুপ চক্রবর্তী সর্ঙ্গীয়ফোর্স নিয়ে শহরের বিভিন্ন হোটেলে তল্লাশীকালে হোটেল তাজমহলের ৪১৬ নম্বর কক্ষ থেকে সন্দেহজনক ভাবে তাকে আটক করে।
তাকে জিজ্ঞাসাবাদে তার নাম জলিল ওরফে ভাগিনা জলিল বলে সে মানুষের কাছে পরিচিত বলে সে জানায়।
ভাগিনা জলিল কুমিল্লা সদর দক্ষিণের বর্ডার এলাকায় ভারত থেকে মদ, গাঁজা ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য এনে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করে। তার বিরুদ্ধ কুমিলার বিভিন্ন থানায় এবং আদালতে প্রায় ১০/১২টি মাদকের বড় চালানের মামলা রয়েছে। ওইসব মামলায় পলাতক থেকে চাঁদপুরে এসে আশ্রয় নেয়।
এদিকে সচেতন চাঁদপুরবাসী জানায়, চাঁদপুরের বাইরের বিভিন্ন জেলা থেকে বড় বড় মাদক বিক্রেতারা শহরের আবাসিক বেশ কিছু হোটেলেগুলো ভাড়া নিয়ে সেখানে মাকদ বিক্রি করে থাকে।
এছাড়াও বিভিন্ন জেলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামীরা এসব হোটেল ভাড়া নিয়ে দিনের পর দিন থাকলেও কতৃপক্ষ এ বিষয়ে প্রশাসনকে জানাচ্ছে না। তারা আরো জানায় হোটেলগুলোতে আাসা লোকজনের নাম-ঠিকানা সঠিকভাবে রেজিস্টার করা হয় না। যার ফলে অপরাধীরা চাঁদপুরের আবাসিক হোটেলগুলো ব্যবহার করে স্বচ্ছন্দেই তাদের অপকর্মকান্ড চালিয়ে নিতে সক্ষম হচ্ছে।
বিষয়টি নজরের আনতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সুপারের দৃষ্টি কামনা করেছে জেলার সচেতন মহল
এ সংক্রান্ত আগের প্রতিবেদনগুলো ক্লিক/টাচ্ করে পড়ুন-
চাঁদপুরে আবাসিক হোটেল থেকে ‘ভাগিনা জলিল’ আটক
চাঁদপুরে আবাসিক হোটেল থেকে মাদকসহ আটক ৪
প্রতিবেদক-আশিক বিন রহিম
।। আপডটে,বাংলাদশে সময় ০৩ : ৩৩ এএম, ২১ মার্চ ২০১৭ মঙ্গলবার
ডিএই
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur