কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুরসহ দেশের ১৪ জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় নাটোর, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, নওগাঁ, মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, চাঁদপুর, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর এবং ঢাকা জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। এ ছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্যা পরিস্থিতি আগামী ২৪ ঘণ্টায় স্থিতিশীল থাকতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা সিটি করপোরেশন সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলগুলোর বন্যা পরিস্থিতির সামান্য অবনতি হতে পারে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীগুলোর পানি হ্রাস পাচ্ছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। গঙ্গা-পদ্মা নদীগুলোর পানি হ্রাস পাচ্ছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
এতে বলা হয়েছে, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় এ অববাহিকার প্রধান নদীগুলোর পানি হ্রাস পেতে পারে। ঢাকা জেলার আশপাশের নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চলের ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ব্যতীত অন্যান্য প্রধান নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পেতে পারে।
দেশের ১০১টি পর্যবেক্ষণাধীন পানি সমতল স্টেশনের মধ্যে বৃদ্ধি ৪১টির, হ্রাস ৫৭টি, বন্যায় আক্রান্ত জেলার সংখ্যা ১৮টি, বিপৎসীমার ওপরে নদীর সংখ্যা ১৮টি, অপরিবর্তিত ৩টি, বিপৎসীমার ওপরে স্টেশনের সংখ্যা ২৮টি, বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত স্টেশনের সংখ্যা ১৫টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত হয়েছে, মহেশখোলা ১৪৫ মিলিমিটার, লরের গড় ১২০ মিলিমিটার, ডালিয়া ১০৫ মিলিমিটার, সুনামগঞ্জ ৭০ মিলিমিটার, লালাখাল ৬৯ মিলিমিটার, জাফলং ৬৮ মিলিমিটার।
বার্তা কক্ষ,৩০ জুলাই ২০২০
