চাঁদপুর জেলা প্রশাসক আব্দুস সবুর মন্ডল বলেছেন, ‘চাঁদপুরে ২০১৭ সালের মধ্যে অনলাইনের মাধ্যমে সকল সেবাগুলো দেয়ার চেষ্টা করা হবে। চাঁদপুর জেলাকে ভিক্ষুক মুক্ত করতে আমরা সহসাই একটি প্রজেক্ট হাতে নিবো।’
ডিজিটাল উদ্বোধনী মেলার র্যালি শেষে চাঁদপুর স্টেডিয়ামে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা জানান।
রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়ন, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহে আইসিটির ব্যবহার নিশ্চিতকরণ, জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেয়া এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় ৩ দিন ব্যাপী “ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা-২০১৭ উদ্বোধন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এর এটুআই প্রোগ্রামের সহযোগিতায় ও জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গন থেকে মেলার এক বর্নাঢ্য র্যালি বের হয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ওয়েব পোর্টাল বিশ্বের সবচেয়ে বড় ওয়েব পোর্টাল। ২৫ হাজার লিংঙ্ক রয়েছে। সারা দেশে ১৩ কোটি সিম ব্যবহার হচ্ছে। ইন্টারনেট ব্যবহার করছে ৬ কোটি।
দেশের ডিজিটাল সেবার যাত্রা শুরু হয়েছিলো যশোর জেলা থেকে। সারা দেশের মধ্যে ডিজিটাল সেবা প্রদানে আমাদের চাইতে যশোর এগিয়ে থাকলেও খুব শিঘ্রই আমরা তাদেরকে ছাড়িয়ে যাবো।
তিনি আরো বলেন, প্রত্যেকটি সরকারী প্রতিষ্ঠানের জন্য নতুন যুগপোযোগী সেবা প্রদান করা হবে। ইতিমধ্যে জেলার বেশকিছু সরকারী প্রতিষ্ঠনে সিসি ক্যামেরা সংযোজন করা হয়েছে।
আলোচনা সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ আব্দুল হাই এর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক সার্বিক মো. মাসুদ হোসেন।
জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার আবু সালেহ মো. আবদুল্লাহর পরিচালনায় বিশেষ অতিথি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদ, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আবু নঈম দুলাল পাটওয়ারী, ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আশ্রাফুজ্জামান, চাঁদপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি শরীফ চৌধুরী।
এসময় চাঁদপুর কোস্টগার্ড স্টেশন কমান্ডার লে. কমান্ডার শরীফ, সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা উদয়ন দেওয়ান, মতলব দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম, মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মফিজুল ইসলাম, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জি এম শাহীন, সাবেক সভাপতি বি এম হান্নান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন মিলন, সোহেল রুশদী, মৈশাদী ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মানিকসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
৩ দিনের এ মেলায় সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের মোট ৫১টি স্টল স্থান পেয়েছে।
আলোচনা সভা শেষে অতিথিবৃন্দ বিভিন্ন স্টল পরিদর্শণ করেন। কন্টেন্ট উপস্থাপনা, কুইজ প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান রয়েছে। সমাপনি অনুষ্ঠানে পুরস্কার বিতরণ করা হবে।
প্রতিবেদক- মাজহারুল ইসলাম অনিক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৬: ৫০ পিএম, ১৭ জানুয়ারি ২০১৭, মঙ্গলবার
ডিএইচ