হাজীগঞ্জ-কচুয়া শতবছরের চলাচলের পথ বৃষ্টি হলেই বেড়ে যায় জনদুর্ভোগ

একটু বৃষ্টি হলেই যেন বেড়ে যায় দুই উপজেলার সীমান্তবর্তী প্রায় ১৫ হাজার মানুষের চলাচলের দুর্ভোগ। সরকারের এতো উন্নয়নমূলক সংস্কার কাজ হলেও নাম মাত্র কিছু মাটি ফেলানো ছাড়া পাকাকরণের কোন উদ্যোগ এখন পর্যন্ত দেখা যায়নি। কবে নাগাদ পাকাকরণের কাজ হবে তাও বলতে পারছেনা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, হাজীগঞ্জ উপজেলার ১১ নং হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়নের ধড্ডা হযরত শেখ আলী (র:) মাজার শরীফ থেকে ধড্ডা খাল পর্যন্ত ২ কিলো সড়কের চরম দুর্ভোগ। গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে রাস্তাটি যেন পেক কাদায় একাকার হয়ে আছে। সিএনজি অটোরিক্সা চলাচল দূরের কথা সাধারন মানুষ পর্যন্ত হাটার কোন উপযোগী নেই। আসন্ন বর্ষার সময়ে অতিবৃষ্টির সম্ভাবনায় এক প্রকার জিম্মি হয়ে আছে ধড্ডা, গৌড়েশ্বর, পাতানিশ ও কচুয়ার কালচোঁ গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ।

ধড্ডা এলাকার মহসিন মোল্লা, ফেরদৌসি বেগম, অর্চনা রানী, তফন চন্দ্র দাস ও মনির হোসেন ভৃঁইয়া বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে প্রধান সড়ক হলেও নেই কোন উন্নয়নের ছোঁয়া । এ পর্যন্ত কিছু মাটি ছাড়া কোন ইটের কণা পালাইতে দেখিনি।

আমাদের আত্মীয় স্বজনরা বেড়াতে আসতে চায় না। অনেক সময় বিয়ে করতে এসে বরযাত্রা ফিরে যাওয়ার মত ঘটনা ঘটেছে।বর্তমানে কিছু কিছু অংশে রাস্তার অস্তিত্ব নেই বললেই চলে। বৃষ্টিতে পা পালানোর পথ নেই। আমরা যে কোন দেশে আছি। ভোটের সময় চেয়ারম্যান মেম্বার রাস্তা পাকাকরণের কথা বলে আর বাস্তবায়নের খবর নেই। রাস্তাটি পাকাকরণের লক্ষে আমরা প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।

ধড্ডা ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জাকির হোসেন বলেন, নতুন দায়িত্ব পেয়ে রাস্তাটির বিষয়ে পরিষদে বলেছি, বরাদ্দ আসলে কাজ করবো।

এ বিষয়ে ১১ নং হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম মজিবুর রহমান চাঁদপুর টাইমকে বলেন, আমার পৃর্বে যারা দায়িত্বে ছিল তারাও চেষ্টা করেছে আর আমি ইতিমধ্যে থানা পৌকশলী ও সাংসদের নজরে আনার চেষ্টা করছি।

হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম চাঁদপুর টাইমকে বলেন, ‘যেসকল এলাকায় কাচা রাস্তা আছে তা সংস্কার ও পাকাকরণের তাগিদ সরকারের রয়েছে। আশাকরি আগামি অর্থ বছরে এ সড়কটি আলোর মুখ দেখবে।’

প্রতিবেদক: জহিরুল ইসলাম জয়, ২৫ মে ২০২২

Share