চলন্ত ট্রেনের নিচে যুবকের ভিডিওতে তোলপাড়

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেকে উপস্থাপন করার ‘অসুস্থ’ প্রতিযোগিতায় মেতে উঠেছে তরুণ সমাজ।

 

কিছুদিন আগে অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল কলেজের শিক্ষার্থী নুরুল্লাহর ওপর প্রায় ১০ মিনিটের অমানবিক শারীরিক নির্যাতনের দৃশ্য ভিডিওতে ধারণ করে তা ফেসবুকে ছেড়ে দিয়ে কথিত ‘সেলিব্রেটি’ বনে যান জুনায়েদ নামের এক যুবক।

 

তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় এখন সে শ্রীঘরে।

জুনায়েদের সেই ভিডিওচিত্রের রেশ কাটতে না কাটতেই ফেসবুকে জনৈক এক যুবকের রেললাইনের নিচে শুয়ে থাকা ও চলন্ত ট্রেন তার ওপর দিয়ে চলে যাওয়া ও বেঁচে উঠে ইয়াহু বলে বিশাল চিৎকার করার দৃশ্য ভিডিও করে ফেসবুকে ছেড়ে দিয়ে আলোচিত হচ্ছেন দুই যুবক।

 

সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী ও বিএমটিআই নিউজের স্টাফ রিপোর্টার পরিচয়ে জনৈক আবদুল্লাহ আল মামুনের ওয়ালে লোমহর্ষক ভিডিওটি আপলোড করা হয়। মামুন এ ভিডিওচিত্রটি ফেসবুক থেকে সংগৃহীত বলে উল্লেখ করেছেন।

৫২ সেকেন্ডের এই ভিডিওর শুরুর দিকে যে যুবক ভিডিওচিত্র ধারণ করছিলেন তিনি আল্লাহ যেন কিছু না হয় এমন বলতে থাকেন।

 

এ সময় তীব্র বেগে ট্রেন আসার শব্দ শোনা যায়। যুবককে এরপর রেললাইনের নিচে সটান হয়ে মাথা-পা নিচু করে পড়ে থাকতে দেখা যায়। ওই দুই যুবক বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজের শিক্ষার্থী বলে জানা যায়।

উঠতি বয়সের তরুণদের মধ্যে কেন এ প্রতিযোগিতা সে সম্পর্কে জানতে চাইলে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক মনোবিজ্ঞানী ডা. হেলালউদ্দিন আহমেদ  জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেকে উপস্থাপন করার প্রতিযোগিতা অনেক দিন থেকেই ছিল। বিশেষত তরুণ-তরুণীরা নানাভাবে প্রতিযোগিতা করে নিজেকে উপস্থাপন করতো। এই প্রতিযোগিতা গ্রহণযোগ্য হওয়ার একটি নির্দিষ্ট সীমানা রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে সে প্রতিযোগিতা অসুস্থতায় রূপ নিয়েছে। যেমনটা সম্প্রতি জুনায়েদ নামের এক যুবকের ক্ষেত্রে হয়েছিল।

ট্রেনের ভিডিওচিত্রটি যদিও তিনি এখনো দেখেননি তবে বর্ণনা শুনে তার মনে হলো যুবকরা নিজেদের আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হচ্ছে। সব বিবেচনায় এটিকে এক ধরনের মনোবিকার বলে মন্তব্য করেন।

আলোচিত ভিডিওটি দেখুন..

Share