Home / আবহাওয়া / চলতি সপ্তাহে বৃষ্টি, বছরের শুরুতে তীব্র শৈত্যপ্রবাহের শঙ্কা
weather

চলতি সপ্তাহে বৃষ্টি, বছরের শুরুতে তীব্র শৈত্যপ্রবাহের শঙ্কা

সোমবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকা ও এর আশপাশের এলাকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্য এলাকায় কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। রাত ও দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, চলতি মাসের একেবারে শেষদিকে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে। এরপর কমতে শুরু করবে তাপমাত্রা। জানুয়ারি মাসের ২-৩ তারিখের দিকেই শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে। ৪ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা হতে পারে। ৮-এর নিচে হলে তাকে আমরা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বলি, আর ৪-৫ হলে তীব্র।

আবহাওয়া অধিদফতরের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়, জানুয়ারি মাসে সামগ্রিকভাবে দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। এ মাসে দেশে ২-৩টি মৃদু (৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস), মাঝারি (৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। যার মধ্যে ২টি তীব্র অর্থাৎ ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিতে পারে।

এছাড়া এ মাসে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে এবং নদ-নদী অববাহিকায় মাঝারি বা ঘন কুয়াশা এবং অন্যত্র হালকা বা মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে।

এদিকে আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও আশপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকা ও আশপাশের এলাকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যান্য এলাকার কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায় ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এছাড়া বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে ঢাকায় ১৫.৫, ময়মনসিংহে ১২.৭, চট্টগ্রামে ১৫.৫, সিলেটে ১৩.৭, রাজশাহীতে ১২, রংপুরে ১৩, খুলনায় ১৪.৫ এবং বরিশালে ১২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ আব্দুল মান্নান বলেন, তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হলেও সেটি শহর এলাকার তুলনায় গ্রামে বেশি অনুভূত হবে। কারণ, শহরের তাপমাত্রা গ্রামের তুলনায় স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা বেশি থাকে। তিনি বলেন, শহরে শীতের তীব্রতা কিছুটা বাড়তে পারে ওই সময়।