কৃষি ও গবাদি

চলতি বছর ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ২১ হাজার ৮শ’কোটি টাকা

কৃষি ও কৃষক বান্ধব নীতির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে টেকসই উন্নয়নের নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের কৃষি ও পল্লীঋণ নীতিমালা কর্মসূচি প্রণয়ন করা হয়েছে। এ অর্থবছরে ২১ হাজার ৮শ’কোটি টাকা কৃষি ও পল্লীঋণ বিতরণ করবে কেন্দ্রিয় ব্যাংক।

বুধবার (২৫ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্ণর এস এম মনিরুজ্জামান এ নীতিমালা ঘোষণা করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক অশোক কুমার দে ও কৃষিঋণ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মনোজ কান্তি বৈরাগী উপস্থিত ছিলেন।

তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেন,‘এখনও বাংলাদেশের ৪০% মানুষ সরাসরি কৃষির সঙ্গে জড়িত। পাশাপাশি ৮০ থেকে ৮৫ % মানুষ পরোক্ষভাবে কৃষি ক্ষেত্রের সঙ্গে সম্পর্কিত।এ খাতের উন্নয়নে ফলে দেশের দারিদ্র বিমোচন,ক্ষুধা মুক্তি ও সু-স্বাস্থ্য অর্জন করা সম্ভব।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্ণর বলেন, এনজিও’র মাধ্যমে কৃষি ঋণ বিতরণ বাড়লেও স্বল্প সুদে ঋণ পাচ্ছেন না কৃষক। কেন্দ্রিয় ব্যাংক থেকে নেয়া ঋণ বর্গা চাষিদের কাছে পৌঁছাতে পৌঁছাতে সুদের পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়।

এ অর্থবছরে নির্ধারিত ঋণের পরিমাণ গেলো অর্থবছরের তুলনায় ৬.৮% বেশি। বিগত বছরে ব্যাংকগুলোর লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২০ হাজার ৪শ’ কোটি টাকা। ব্যাংকগুলোর নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার বাইরে সমবায় ব্যাংক,পল্লী উন্নয়ন বোর্ড ৯ শ’ ৬১ কোটি টাকা কৃষি ও পল্লীঋণ বিতরণ করবে। ব্র্যাক বিতরণ করবে ৬ শ’ কোটি টাকা।

অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ব্যাংকগুলো লক্ষ্যমাত্রার ৬০% বিতরণ করতে হবে শস্য খাতে। ন্যূনতম ১০% মৎস্য খাতে এবং প্রাণি সম্পদ খাতে ১০% বিতরণ করবে। এছাড়াও কৃষি যন্ত্রপাতি,দারিদ্র বিমোচন ও অন্যান্য খাতে বাকি অর্থ বিতরণ করতে হবে বলে জানান তিনি।

লক্ষ্যমাত্রার ৫২% বিতরণ করবে বেসরকারি খাতের ব্যাংক। সরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক বিতরণ করবে ৩০% , বিশেষায়িত ব্যাংক বিতরণ করবে ১৫ % ও বিদেশি ব্যাংক বিতরণ করবে ৩ % ঋণ।

বার্তা কক্ষ
আপডেট,বাংলাদেশ সময় ৩:১৫ পিএম,২৬ জুলাই ২০১৮,বৃহস্পতিবার
এজি

Share