বদলে যাচ্ছে সরকারি কেনাকাটার ধরন। কাগজ থেকে চলে যাচ্ছে অনলাইনে। ফলে কমবে দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও অনিয়ম। এ প্রক্রিয়ায় ঘরে বসেই দরপত্র সংক্রান্ত সব কাজ করতে পাররেন ঠিকাদাররা। বিলুপ্ত হবে প্রাচীন পদ্ধতি টেন্ডার বক্স।
পাশাপাশি স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে দরপত্রের প্রস্তাব, মূল্যায়ন চুক্তি ব্যবস্থাপনা ও ই-পেমেন্টসহ সংশ্লিষ্ট অনেক কাজই স্বল্প সময়ে, সহজে ও সমন্বিতভাবে করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। বর্তমানে চারটি সরকারি সংস্থায় পরীক্ষামূলক ই-টেন্ডারিং বাস্তবায়িত হলেও আগামী ডিসেম্বর মাস থেকে অনলাইনে যাচ্ছে সরকারি সব দরপত্র।
সূত্র জানায়, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে সবগুলো মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে ই-জিপির আওতায় নিয়ে আসতে ইতোমধ্যেই প্রস্তুতি এগিয়ে নিচ্ছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) আওতায় সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট (সিপিটিইউ)।
উল্লেখযোগ্য প্রস্তুতির মধ্যে রয়েছে— আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যেই উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ডাটা সেন্টার স্থাপনের কাজ শেষ করা হবে। প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে ই-টেন্ডারিং কার্যক্রম পরিচালনার সঙ্গে যুক্তদের। চলছে ঠিকাদারদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমও। এ কার্যক্রমকে আরও বেগবান করতে বর্তমান পাইলট প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত চলমান চারটি টার্গেট এজেন্সির মাধ্যমে জেলা পর্যায়ে ল্যাব স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এই ল্যাবে ঠিকাদারদের প্রশিক্ষণ পরিচালনা করা হবে।
সিপিটিইউতে ই-জিপ বাস্তবায়নে জরিত বেসরকারি সংস্থা দোহাটেকও ঠিকাদারদের প্রশিক্ষণ পরিচালনা করছে। সিপিটিইউয়ের সক্ষমতা বাড়াতে সিপিটিইউকে একটি কর্তৃপক্ষ হিসেবে প্রতিষ্ঠার বিষয়েও চিন্তা-ভাবনা শুরু হয়েছে। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানটি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) আওতায় রেগুলেটরি ইউনিট হিসেবে কাজ করছে। যা শুধুমাত্র মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে, কিন্তু কোনো নির্দেশ দিতে পারে না।
এ বিষয়ে আইএমইডির সাবেক সচিব (বর্তমানে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব) শহীদ উল্লাহ খন্দকারের আগে দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ২০১৬ সালের মধ্যে সকল সরকারি সব কেনাকাটা অনলাইনে হবে।
এতে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় নানাবিধ জটিলতার নিরসন হবে। খরচ ও সময়ের সাশ্রয় হবে। তবে ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট (ই-জিপি) ব্যবস্থার কার্যকর বাস্তবায়নের জন্য সরকারি ক্রয়কারী সংস্থার পাশাপাশি ঠিকাদারদের প্রশিক্ষণ অত্যন্ত জরুরি।
সে কাজটি পরিচালনা করা হচ্ছে।
সূত্র জানায়, সক্ষমতা বাড়ছে ই-জিপি (ইলেকট্রনিক্স গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট) কার্যক্রমে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটের (সিপিটিইউ)-এর বাস্তবায়নাধীন পিপিআরপি-২ (সংশোধিত) প্রকল্পের আওতায় ক্রয় করা হচ্ছে অধিক ক্ষমতাসম্পন্ন নিউ ডাটা সেন্টার। এটি স্থাপনের পর বাড়বে এই সক্ষমতা। ফলে পর্যায়ক্রমে দেশের সকল সরকারি সংস্থার ক্রয় কার্যক্রম ডিজিটাল বা ই-জিপি করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
ইতোমধ্যেই এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে ডিও লেটার পাঠিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল। এতে তিনি সকল ধরনের দরপত্র ডিজিটাল পদ্ধতিতে নিয়ে আসার বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেছেন।
সিপিটিইউয়ের মহাপরিচালক ফারুক হোসেন এ বিষয়ে বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে এটি মাইলফলক হবে। দেশের সকল সরকারি সংস্থার ক্রয় কার্যক্রম পরিচালনা ও অনলাইনে দরপত্র প্রক্রিয়াকরণ একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এটি বাস্তবায়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
সিপিটিইউ সূত্র জানায়, গত মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ঠিকাদার এবং পরামর্শক মিলে মোট ১৯ হাজার ৬৮২ জন ই-জিপিতে রেজিস্ট্রেশন করেছেন। ৩৩টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অধীনে দুই হাজার ২৩৬টি সরকারি ক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান যুক্ত হয়েছে। সারাদেশে ৪০টি ব্যাংকের এক হাজার ৭০০-এর বেশি শাখা ই-জিপিতে সেবা দেওয়ার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। তা ছাড়া নিবন্ধিত উন্নয়ন সহযোগী রয়েছে পাঁচটি।
এগুলো হচ্ছে— বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা), ইউনিসেফ, চীন ও নেদারল্যান্ড। ২০১১ সাল থেকে গত ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ই-জিপির আওতায় ২১ হাজার ৭৮৩টি চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। যেগুলোর মোট আর্থিক সংশ্লেষ ৩০ হাজার কোটি টাকা। অন্যদিকে সিপিটিইউ গত জানুয়ারি পর্যন্ত নিবন্ধন ফি ও টেন্ডার ডকুমেন্ট বিক্রি বাবদ ই-জিপি সিস্টেম থেকে আয় করেছে ৫৯ কোটি টাকা, যা চালানের মাধ্যমে সরকারের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে পাঠানো ডিও লেটারে পরিকল্পনামন্ত্রী জানিয়েছেন, ই-জিপি বাস্তবায়নে সামগ্রিক উন্নতি অগ্রগতি হলেও এখনো ৫০ কোটি টাকার ঊর্ধ্বে পণ্য ও কার্য এবং ১০ কোটি টাকার ঊর্ধ্বে বুদ্ধিবৃত্তিক ও পেশাগত সেবা ক্রয়ের অনুমোদনের বিষয়টি শুরু হয়নি। অর্থাৎ ৫০ কোটি টাকার বেশি হলে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদন প্রয়োজন। তাই ই-জিপিতে ক্রয়ের নির্দিষ্ট সীমা তুলে দিয়ে ওই কমিটির কার্যক্রম তথা প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন কার্যক্রমও অনলাইনে নেওয়ার জন্য সিসিজিপির কোনো একটি সভায় কার্যকর পন্থা উদ্ভাবনে আলোচনার জন্য বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছিলেন।
পরবর্তী সময়ে সম্প্রতি দেশের সব দরপত্র কার্যক্রমই ই-জিপিতে যুক্ত করতে এক বৈঠকে বসে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সভাপতিত্ব করেন। এ সময় ৫০ কোটি টাকার উপরের বড় কাজের দরপত্র এবং ১০ কোটি টাকার বেশি বুদ্ধিবৃত্তিক এবং পেশাগত সেবা ক্রয়ের প্রক্রিয়া নিয়েও আলোচনা হয়।
পরিকল্পনামন্ত্রী ও ই-জিপিয়ের সফল বাস্তবায়নে নীতি-নির্ধারণী কমিটির আহ্বায়ক আ হ ম মুস্তফা কামাল এর আগে দ্য রিপোর্টকে বলেন, দেশের সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে ই-টেন্ডারিংয়ের আওতায় আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। ফলে এখনকার কাগজের টেন্ডার আর থাকবে না। তিনি আরও বলেন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হলে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর বিকল্প নেই। আধুনিক প্রযুক্তি সঠিক ব্যবহারের ফলে দুর্নীতি ও অনিয়ম কমিয়ে আনা সম্ভব।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, উন্নয়ন কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করা ও সরকারি অর্থ ব্যয় অধিকতর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্যই ই-টেন্ডারিং ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়। ২০১১ সালের ২ জুন এ প্রক্রিয়ার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় এ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। ক্রয় প্রক্রিয়া ছাড়াও উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতি দূর করতে অনেক আগে থেকেই দাতা সংস্থারা চাপ দিয়ে আসছিল। এ অবস্থায় প্রথম পর্যায় সরকারি চারটি সংস্থা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর, সড়ক ও জনপথ অধিদফতর, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে পরীক্ষামূলকভাবে ই-টেন্ডারিং চালু করা হয়। বিশ্বব্যাংকের মতে, প্রতিবছর সরকারিভাবে যে ক্রয় কাজ করা হয় তার অধিকাংশই এ চারটি সংস্থা সম্পন্ন করে থাকে।
সরকারি কেনাকাটায় হচ্ছে গভর্নমেন্ট অ্যান্ড কন্ট্রাক্টর ফোরাম
সরকারি কেনাকাটায় মান বৃদ্ধির জন্য সরকার ও টেন্ডারের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ হিসেবে সারা দেশে গঠন করা হচ্ছে গভর্নমেন্ট অ্যান্ড কন্ট্রাক্টর ফোরাম বা ক্রয় সংলাপ ফোরাম। ইতোমধ্যেই ২৩টি জেলায় গঠন করা হয়েছে এই ফোরাম। এর মাধ্যমে সরকারি ক্রয়ের ক্ষেত্রে এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত ক্রয়কারী সংস্থা এবং ঠিকাদারদের মাঝে সরকারি ক্রয় বিষয়ে পারস্পরিক ধারণা, অভিজ্ঞতা ও মতবিনিময়ের মধ্যে যেকোনো সমস্যা সমাধানের পথ তৈরি হবে।
সিপিটিইউ সূত্র জানায়, পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রিফর্ম প্রজেক্ট-২ (পিপিআরপি-২)-এর আওতায় সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট (সিপিটিইউ) বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি), পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রাম (বিসিসিপি)-এর সহায়তায় ইলেকট্রনিক্স গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট (ই-জিপি) বিষয়ে সচেতনতা ও যোগাযোগ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।
সিপিটিইউ বলছে, সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়ায় ক্রয়কারী ও টেন্ডার সমান গুরুত্বপূর্ণ। যথাসময়ে ও সফলভাবে চুক্তি সম্পাদন করার জন্য উভয়পক্ষের মধ্যে একটি আস্থার সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করা জরুরি। কারণ চুক্তিতে দু-পক্ষেরই অধিকার ও দায়িত্ব বিদ্যমান। চুক্তির শর্তের সীমানা অক্ষুণ্ন রেখে ক্রয়কারী ও টেন্ডারারের মধ্যে সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতে পারলে চুক্তির সফল বাস্তবায়ন সহজতর হবে। সে লক্ষ্যে সিপিটিইউ দেশের সকল জেলায় ক্রয়কারী ও টেন্ডারের জন্য ক্রয় সংলাপ ফোরাম গঠনে সহায়তা করছে। সংশ্লিষ্ট জেলার ক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানসমূহ ও টেন্ডারারগণই এ ফোরামের সদস্য। এটি কার্যকর হলে সরকারি ক্রয় কার্যক্রম আরও বেশি গতিশীল হবে। সম্পর্ক উন্নয়নের মধ্যদিয়ে উভয়পক্ষের অধিকার ও দায় পূরণ নিশ্চিত হবে। সামাজিক সচেতনতা ও যোগাযোগ কার্যক্রমের আওতায় সরকারি ক্রয়কারী ও ঠিকাদারদের নিয়ে জেলা পর্যায়ে ক্রয় সংলাপ ফোরাম গঠনের কাজ ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে।
সরকারি ক্রয়ে থার্ড পার্টি মনিটরিং
সরকারি ক্রয়ে থার্ড পার্টি মনিটরিং (তৃতীয় পক্ষের তদারকি) বাড়ানো হচ্ছে। এ বিষয়ে কীভাবে নাগরিক সম্পৃক্ততা সৃষ্টি করা যায় সে উপায় বের করছে বৈঠকে করেছে পাবলিক-প্রাইভেট স্টেকহোল্ডার কমিটি (পিপিএসসি)। ইতোমধ্যেই সরকারি ক্রয় ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন এবং সরকারি ক্রয়ে নাগরিক সম্পৃক্ততা সৃষ্টির লক্ষ্যে সুশীল সমাজ, উন্নয়ন সংগঠন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়ী, টেন্ডারার, গণমাধ্যম এবং পাবলিক খাতের সদস্যদের সমন্বয়ে পাবলিক-প্রাইভেট স্টেকহোল্ডার কমিটি গঠিত হয়েছে। এ বিষয়ে সিপিটিইউয়ের মহাপরিচালক ফারুক হোসেন জানান, পাবলিক প্রকিউমেন্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এর সঙ্গে জনগণের অংশগ্রহণ অন্যতম একটি বিষয়। কেননা, জনগণই করদাতা। তাদের টাকায়ই সরকারি কেনাকাটা সম্পন্ন হয়ে থাকে। তাই পাবলিক প্রকিউরমেন্টের কোনো কোনো পার্ট সিক্রেট থাকে, সেই পার্ট বাদ দিয়ে আমরা চাচ্ছি অন্য পার্টগুলোতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ যারা সরকারি ক্রয়ের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নয়, তারা অংশগ্রহণ করুক বা এ বিষয়ে সচেতন থাকুক।
গড়ে উঠছে আঞ্চলিক নেটওয়ার্ক
সরকারি ক্রয়ে গড়ে উঠছে আঞ্চলিক নেটওয়ার্ক। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশে প্রথমবারের অনুষ্ঠিত হয়েছে তৃতীয় দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলিক সরকারি ক্রয় সম্মেলন। এটি ক্রয় সংস্থার প্রধানগণের মিলন মেলায় পরিণত হয়। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের আওতায় সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট (সিপিটিইউ)-এর এই আয়োজনে সহায়তা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
গত বছরের ১ থেকে ৩ নভেম্বর রাজধানীর গুলশানের হোটেল ওয়েস্টিনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সরকারি ক্রয়ের ক্ষেত্রে একটি কার্যকর আঞ্চলিক নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা এবং সে লক্ষ্যে প্রণীত কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে ঢাকা ঘোষণা গ্রহণের মধ্যদিয়ে শেষ হয় এ সম্মেলন। (দ্যা রিপোর্ট)