চাঁদপুর সদর উপজেলার ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের চরমুকন্দি গ্রামে মহামারি করোনার প্রভাবে বেকার হওয়া যুবকদের কর্মসংস্থান সৃস্টির লক্ষ্যে প্রায় ২৫ একর জমিতে তৈরি করা হচ্ছে খামার। খামারে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ, হাঁস-মুরগী, গরু, ছাগল, মহিষসহ ফল ফলাদি ও সবজি থাকবে বলে জানান উদ্যোক্তারা।
সরোজমিন ঘুরে দেখা যায়, চাঁদপুর সদর উপজেলার ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের পদ্মা নদীর পাড়ের চরগুলো হোগলাপাতা আর নানা ধরনের লতাপাতা ও গাছে পরিপূর্ণ হয়ে তৈরি হয়েছে বিশাল জঙ্গল। আর সেই জঙ্গল পরিস্কার করে তৈরি করা হচ্ছে খামার।
স্থানীয় হুমায়ন গাজী, মান্নান চাঁদপুর টাইমসকে জানায়, চরগুলো নানা লতাপাতা ও গাছগাছালি না কাটার ফলে জঙ্গল হয়ে থাকে। দিনের বেলায়ও জঙ্গলের পাশ দিয়ে চলাচল করতে মানুষ ভয় পায়। আর এই জঙ্গল পরিস্কার করে হাঁস মুরগীর খামার হলে এলাকার মানুষ কাজ করতে পারবে। তাহলেতো ভালই হয়।
রুবেল মিজি, কালু জমাদার ও পগুসহ কয়েকজন জানায়, ডাকাতরা নদীতে ডাকাতি করে এই জঙ্গলের ভেতরে প্রবেশ করে পালিয়ে যায়। এছাড়া জাটকা ও মা ইলিশের সময় অন্য এলাকার জেলেরা প্রশাসনের চোখ ফাকি দিয়ে জঙ্গলে এসে প্রবেশ করে। যার ফলে মানুষ মনে করে এই এলাকার মানুষ মাছ ধরে। আমরা এই জঙ্গল চাই না।
উদ্যোক্তা নিবির আহমেদ, মুন্না তালুকদার, রাশেদ তালুকদার ও রুবেল এর সাথে কথা হলে চাঁদপুর টাইমসকে তারা জানায়, চাঁদপুর শহরে হাঁস, মুরগী, গরু, ছাগল পালনের জন্য এত বড় বিশাল জায়গা নেই। মহামারি করোনার প্রভাবে অনেকে বেকার হয়ে গেছেন। তাই বেকারদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে আমরা বন্ধুরা মিলে খামার করার উদ্যোগ নিয়েছি।
তারা আরোও জানায়, এখানে প্রায় ২০ শতাংশ করে ৪টি পুকুরে দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ, প্রায় ১০ হাজার হাঁস-মুরগী ও ৫ শতাধিক গরু-ছাগল পালনের আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। পর্যায়ক্রমে খামারে আরোও গরু-ছাগল, হাঁস-মরগী, মাছ বৃদ্ধি করা হবে। পুকুর পাড়ের চারদিকে বিভিন্ন জাতের ফল ও সবজি চাষ করা হবে।
দর্শনার্থীদের জন্য খামার ঘুরে দেখার ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া বর্ষাকালে যেন নদীর পানি খামারে না প্রবেশ করে সেই জন্য পাড় বাঁধা হচ্ছে। খামারটি তৈরি হলে প্রায় ৩শ জনের কর্মসংস্থান তৈরি হবে বলে জানান উদ্যোক্তারা।
সিনিয়র স্টাফ করেসপন্ডেট,২০ মার্চ ২০২১