চাঁদপুর হাইমচর উপজেলার ৬ নং চরভৈরবী ইউনিয়নের যাতায়াতের প্রধান রাস্তাটি চলার অনুপযোগী হয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বিবর্ণ রূপে পড়ে আছে। রাস্তাটি নির্মাণ করার পর থেকে পুনঃসংস্কার না করায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে ইউনিয়নবাসি। রাস্তাটির একাধিক স্থানে বাঁশের সাঁকো দেয়া রয়েছে।
ইউনিয়নবাসির ক’জন জানান রাস্তাটি নির্মাণ করার পর থেকে এ পর্যন্ত ওই ইউনিয়ন পরিষদে ৪/৫ জন চেয়ারম্যান দায়িত্ব পালন করেছে।
প্রতি ৫ বছর অন্ত পরিষদে চেয়ারম্যান আসে চেয়ারম্যান যায়। কিন্তু ইউনিয়নবাসির যাতায়াতের প্রধানার রাস্তাটির কোনো পরিবর্তন হয়নি।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড হতে বিভিন্ন ওয়ার্ড এবং অন্যান্য স্থানে যাতায়াতের জন্য যে প্রধান রাস্তাটি রয়েছে সেটির অবস্থা একেবারই নাজুক।
ওই রাস্তাটির নকুল বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে শুরু করে জইল্লার চর পর্যন্ত পুরো রাস্তাটির বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। আর গর্তের স্থানে কাদা পানিতে ভরপুর রয়েছে।
অনেক স্থনে বিশাল জায়গা জুড়ে রাস্তার মাটি ধেবে গেছে। আবার কোথাও কোথাও বৃষ্টির পানিতে রাস্তার অনেকাংশের মাটি ভেঙ্গে পড়ে গেছে।
শুধু প্রধান রাস্তাটিই নয় , সে সাথে ১ নং ওয়াডৃ হতে ৯ নং ওয়ার্ডের প্রত্যেকটি শাখা রাস্তাগুলোর ও একই হাল। শুকনো মৌসুমেও বেশ কিছু শাখা রাস্তায় বাঁশের সাকো দিয়ে গ্রাম বাসিকে চলাচল করতে দেখা যায়।
ওই ইউনিযনের বাসিন্দা কবি মাসুদ করিম আজাদ, নুরুল আমিন , শাহ মাঝি, রেজাউল করিম বাদল, হারুনুর রশিদ, মানিক মাজিসহ ক’জন ব্যাক্তি জানান, ‘বেড়িবাঁধের একমাত্র বিকল্প রাস্তা এটি। এ কাচা রাস্তাটির আয়াতন প্রায় ৪ বর্গ কিলোমিটার । তার দু’পাশে প্রায় ১৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে এবং ইউনিয়নে প্রায ১২/১৩ হাজার লোক বসবাস করছেন। রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শত শত শিক্ষার্থী চলাচল করে থাকে। রাস্তাটির এমন করুণ দশার কারণে প্রতিদিন জনগণের যাতায়াতে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়।’
তারা জানান, ‘রাস্তাটি নির্মাণ করার পর থেকে আজো এটির কোনো সংস্কার হয়নি। তারা স্থানীয় সাংসদ ও ইউপি চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ ভুট্টা মুন্সির দৃষ্টি আর্কষণ করে বলেন যদি এ রাস্তাটি পুনরায় সংস্কার করে তার প্রকৃত রূপ ফিরিয়ে আনা যায় তাহলে তারা এ চরম দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাবে।’
এ ব্যাপারে ৬ নং চরভৈরবী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ ভুট্টা মুন্সির সাথে কথা হরে তিনি বলেন, ‘রাস্তাটির বিষয় নিয়ে ডা. দীপু মনির সাথে বেশ ক’বার আলোচনা করা হয়েছে। তিনি রাস্তাটির উন্নয়নমূলক কাজ করার জন্য পরিকল্পনা করেছেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘উন্নয়নমূলক কাজ হবে আলগী উত্তর, আলগী দক্ষিণ এবং ঢেলের বাজার হয়ে চরভৈরবী ছাড়িয়ে নদীর পাড় লঞ্চঘাট পর্যন্ত। বিশ্ব ব্যাংকের সহযোগিতায় রাস্তাটির উন্নয়ন কাজ করা হবে। তা করার জন্য ডা. দীপু মনির হস্তক্ষেপে বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধিরা এসে রাস্তাটি পরিদর্শন করে গেছেন। তারা জানুয়ারির মধ্যে টেন্ডার দিবে বলে জানিয়েছেন। আশা করি আগামী বছরের প্রথম দিকে কাজ ধরা হবে।’
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১১:০০ পিএম, ৭ নভেম্বর ২০১৬, সোমবার
ডিএইচ