চট্টগ্রাম মহানগরীতে আবারো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) এক সভায় ব্যাটারিচালিত রিকশার ব্যাটারি খুলে ফেলতে চালক ও মালিকদের নির্দেশ দেয়া হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার সকাল থেকে চট্টগ্রাম নগর পুলিশ অভিযান চালিয়ে নগরের সড়ক থেকে ব্যাটারিচালিত রিকশা সরিয়ে দেয়।
সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন, অর্থ ও ট্রাফিক) একেএম শহীদুর রহমান জানান, ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলে কোনো বৈধতা না থাকায় ব্যাটারি খুলে ফেলতে বলা হয়েছে। চালক-মালিকরাও কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। তাই শুক্রবার থেকে নগরীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধ করা হয়।
গত বছরের ৩ জুলাই ঢাকা ও চট্টগ্রাম নগরীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের রায় দেন উচ্চ আদালত। এরপর ৩১ আগস্ট থেকে বন্দরনগরীতে ব্যাটারিচালিত রিকশার বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে নগর পুলিশ। ওই সময় অভিযানের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে রিকশা মালিক-চালকরা।
পরবর্তীতে গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র এম মনজুর আলমের বাস ভবন ঘেরাও করে মহাসড়কে ব্যারিকেড দেন তারা। এরপর তারা উচ্চ আদালতে রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন করলে আদালত ছয় মাসের জন্য রায় স্থগিত করে।
গত ১৯ মার্চ নগর পুলিশের এক সভায় রিকশা থেকে ব্যাটারি খুলে ফেলতে চালক ও মালিকদের তিনদিন পর্যন্ত সময় বেধে দেয়া হয় এবং ২৩ মার্চ থেকে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধ করে দেয় পুলিশ। ২৮ এপ্রিল সিটি নির্বাচনের পর নগরীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা আবারো চলতে শুরু করে। বৃহস্পতিবার ফের ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ দেয় চট্টগ্রাম পুলিশ।