Home / বিশেষ সংবাদ / বিউটি পার্লারের আড়ালে অনৈতিক কর্মকাণ্ড! (ভিডিওসহ)
বিউটি পার্লারের আড়ালে অনৈতিক কর্মকাণ্ড! (ভিডিওসহ)

বিউটি পার্লারের আড়ালে অনৈতিক কর্মকাণ্ড! (ভিডিওসহ)

চট্টগ্রামে বিউটি পার্লারের আড়ালে ভয়ঙ্কর অনৈতিক কর্মকাণ্ড! তাদের মূল লক্ষ্য স্কুলগামী ছাত্র-ছাত্রী। পরিপাটি সেলুনের আড়ালে ঘটছে নানা অসামাজিক কাজ। অথচ এ বিষয়টি নিয়ে আইনী কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে না।

দীর্ঘদিন ধরে এসব অনৈতিক কর্মকান্ডের আড়ালে রয়েছ অনেক ছত্রছায়া দেয়ার গডফাদার। যারা এর মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।

চট্টগ্রামে জেন্টস্ সেলুনের আড়ালে অনৈতিক কর্মকান্ড
বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর বন্দরনগরী চট্টগ্রাম। বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রাম শহরের অভিজাত এলাকায় সেলুন, বিউটি পার্লার ও ম্যাসাজ পার্লারের আড়ালে চলছে অনৈতিক কর্মকান্ড। অভিযোগ আছে এই ধরনের অনৈতিক কর্মকান্ডের সুযোগ দিয়ে মোটা অংকের অর্থ মাসোয়ারা তুলছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের কিছু দূর্নীতিবাজ ব্যাক্তি।

শহরের প্রাণ কেন্দ্র পূর্ব নাসিরাবাদের জিইসি মোড়ের পাশেই এম এম টাওয়ারের নিচ তলায় আবস্থিত “স্টার সেলুন জেনস্ পার্লার“। বাইরে থেকে ভিতরের পরিবেশ অনুমান করাও কঠিন। ভিতরে প্রবেশ করলেই চোখে পড়বে ছিমছাম পরিপাটি সেলুন। অথচ এর মধ্যে চলছে ভয়ঙ্কর অনৈতিক কর্মকান্ড।
এক কোনায় ছোট একটা দরজা। ভিতরে ঢুকে দেখা গেল কাপড়ের পর্দা টানিয়ে ছোট ছোট রুম তৈরী করা হয়েছে। রাখা হয়েছে বেশ কিছু সুন্দরী যুবতী। এখানেই চলে যতসব অনৈতিক কর্মকান্ড। স্কুল-কলেজের ইঠতি বয়সী ছেলেরাসহ যুব-সমাজের একটি বড় অংশ এদের খরিদ্দার।
প্রতিটি রুমে রাখা আছে ছেলেদের সটস্ ও মেয়েদের এপ্রোন। এ্যানি নামে একজন খরিদ্দারকেও পাওয়া গেল হাতে নাতে। এ্যানি নাকি খেলোয়ার, এখানে এসেছেন শরীর ম্যাসাজ করতে।
এখান থেকে বের হয়েই আমরা পেয়ে যাই বাড়ির মালিকের ছোট ভাইকে। কথা হয় তার সাথে।
আমরা কথা বলেছিলাম এই ভবনে কর্মরত কয়েকজন ব্যাক্তির সাথেও।
নির্ভরযোগ্য তথ্য পেয়ে এরপর আমরা যাই শহরের খুলশী এলাকার সিডিএ এভিনিউ এ অবস্থিত লায়লা মজ্ঞিলে। এই ভবনের ৪র্থ তলায় অবস্থিত তানিম সেলুন এন্ড ম্যাসাজ পার্লার। তৃতীয় তলায় উঠার পর ৪র্থ তলায় উঠার সিড়ি দেখে বোঝার উপায় নেই যে উপরে মানুষ যাতায়াত করে।
উপরে উঠে দেখা গেল এখানেও একটি ছিমছাম সেলুন। খরিদ্দারদের বসার জন্য দামি দামি সব সোফা রয়েছে এখানে। তবে চুল কাটানোর জন্য কোনো খরিদ্দার চেয়ারে নেই।
রুমের এককোনে একটি মানুষের ছবি একে হাত দিয়ে দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে ভিতরে যাওয়ার জন্য।
দরজা ঠেলে ভিতরে ঢুকতেই দেখা গেল ভিন্ন এক পরিবেশ। এখানে ঢুকতেই এখানকার মেয়েরা আমাদের উপর রীতিমতো চটে গিয়ে তাদের ক্ষমতার দম্ভ দেখানো শুরু করলো।
একজন খরিদ্দারকে পাওয়া গেল আপত্তিকর অবস্থায়। তার সাথে কথা বলতে চাইলে আমাদের ফাঁকি দিয়ে ছটকে পড়ার চেষ্টা করলো।
একপর্যায়ে এখানে কর্মরত ব্যাক্তি আমাদের নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে সেলুনে ঢোকার মূল গেটে তালা লাগিয়ে দিয়ে রের্কডকৃত ক্যাসেট ছিনিয়ে নেওয়ার হুমকি দিয়ে বিভিন্ন জনের কাছে ফোন করা শুরু করে। আমরা স্থানীয় পুলিশ প্রসাশনের সাথে যোগযোগ করলে তারা তালবাহানা শুরু করে।
পরবর্তীতে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে যোগাযোগ করলে কিছুক্ষনের মধ্যে বেশ কয়েকজন্য সংবাদিক সেখানে উপস্থিত হয়।
স্থানীয় সাংবাদিকদের নিয়ে আবারো ভিতরের রুমে প্রবেশ করলে দেখা যায় এই পরিবেশের মধ্যেও তারা অনৈতিক কর্মকান্ডে ব্যস্ত। পাওয়া যায় একজন খরিদ্দারকে।
কিছুক্ষন পরে সেখানে পুলিশ এসে উপস্থিত হয়। আমরা তাদের সাথে কথা বলি ।
পুলিশ একজন কর্মচারী, একজন খরিদ্দারসহ ৭ জন রারীকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছি মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে পুলিশ তাদেরকে ছেড়ে দিয়েছে এবং যথারীতি পরের দিন থেকেই এখানে আবারও অবৈধ কর্মকান্ড চলছে।
এই ব্যাপারে কথা বলার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কাউকে পাওয়া যায়নি।
সামাজিক অবক্ষয়ের এই সন্ধিক্ষণে এই ধরনের অনৈতিক কর্মকান্ড বন্ধে প্রশাসন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করবে এমনটাই প্রত্যাশা সবার।সূত্র-একুশে টিভি

নিচের অনুসন্ধানী ভিডিওচিত্রটি দেখলেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে :

 

বিউটি পার্লারগুলোতে কি হচ্ছে তা আমরা অনেকেই জানি না। বিভিন্ন প্রফেশনে প্রতারণা থাকলেও এখন কিছু অসাধু লোকের কালো থাবায় এ খাতটিতেও প্রবেশ করেছে প্রতারণা।
সম্প্রতি একটি বেসরকারী টেলিভিশনের গোপন ক্যামেরায় এ প্রতারক চক্রের প্রতারণা আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়া হয়েছে। তাই আমাদের সবার সচেতন হবার সময় এসেছে।
পাঠক আপনিও সেসব ঘটনার সাক্ষী হয়ে হতে পারেন। পুরো প্রতিবেদনটি করতে গিয়ে এখানে বেশ কিছু গোপন ক্যামেরার দৃশ্যেরও সংযোজন করা হয়েছে। পুরো ঘটনা বিস্তারিত দেখুন ভিডিওতে :

https://www.youtube.com/watch?v=ujFRsuPUXSo

শুধু তাই নয় ঢাকায়ও সম্প্রতি বিউটি পার্লারের আড়ালে চলতে থাকা সেক্স র‍্যাকেটের পর্দাফাঁস করল পুলিশ৷ রাজধানীতে একটি অভিজাত এলাকায় রমরমা চলছিল বেআইনী দেহব্যবসা৷ কিন্তু সবচেয়ে অবাক করা তথ্য হল ওই পার্লারে হানা দিয়ে পুলিশ  মোট ছয়জন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে৷

নৈসি বিউটি পার্লারে পুলিশের একটি বিশেষ দল হানা দেয়৷ ওই পার্লারে একটি মেয়ের সঙ্গে আপত্তিজনক অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ৷

পার্লারে তল্লাশি চালিয়ে এক যুবতীসহ পাঁচজন পুরুষকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, এই বিউটি পার্লারের সঞ্চালক সেক্সের জন্য যুবতীদের এক হাজার টাকা করে দিতেন৷ পুলিশ  গাড়ি, একটি বাইকসহ অন্য আপত্তিজনক জিনিষ বাজেয়াপ্ত করেছে৷

নিউজ ডেস্ক || আপডেট: ০৩:৩৭ পিএম, ২২ ডিসেম্বর ২০১৫, মঙ্গলবার

এমআরআর