শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজন আউটার স্টেডিয়ামে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা মঞ্চে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ।
তিনি বলেন, নীল নকশা করে গভির চক্রান্তের মাধ্যমে জাতীয় নেতাদের হত্যা করে। কিভাবে আমাদের দেশকে পঙ্গু করা যায়, তা তারা বাস্তবায়ন করেছে। আমরা নতুন প্রজন্মকে জানাতে চাই, অতিতে আমাদের সাথে কি রকম নিঃসংশ করেছে। মেধাশূণ্য জাতি তৈরি করতে তারা এই হত্যাযোজ্ঞ চালিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অতীতকে ভুললে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া যাবে না। আমাদের অতিতের স্মৃতি মনে রাখতে হবে। আলবদর আসসামস ছাড়া প্রত্যেকেই পতোক্ষ ও পরোক্ষ মুক্তিযুদ্ধ করেছে। আমাদের উচিত মুক্তিযুদ্ধের তালিকা না করে রাজাকারের তালিকা করা। অতিতের ঘটনা আমাদের এখনো ক্ষত বিক্ষত করে। সকল বাঁধা পেরিয়ে আমাদের দেশ এখন পাকিস্তান ভারতের চেয়ে অনেক এগিয়ে গেছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ইমতিয়াজ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক এম আর ইসলাম বাবুর পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, বিজয় মেলার স্টিয়ারিং কমিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা এমএ ওয়াদুদ, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ডা. সৈয়দা বদরুন নাহার চৌধুরী, সাহিত্য একাডেমির মহাপরিচালক কাজী শাহাদাত, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী, কবি ও ছড়াকার ডা. পীযূষ কান্তি বড়ুয়া।
আলোচনা সভার শুরুতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের উপর ডকুমেন্টারি উপস্থাপন করেন পুরাণ বাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রতণ কুমার মজুমদার। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কুরআন শরীফ থেকে তিলাওয়াত করেন মুক্তিযোদ্ধা সানাউল্লাহ, গিতাপাঠ করেন জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের কর্মকর্তা বিমল চন্দ্র দে।
প্রতিবেদক: শরীফুল ইসলাম, ১৪ ডিসেম্বর ২০২১