আবারও হতে পারে ঘূর্ণিঝড়

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের রেশ এখনো কাটেনি। এরই মধ্যে আরেক দুঃসংবাদ দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর। জানানো হলো, ডিসেম্বরে আবারও ঘূর্ণিঝড় হওয়ার শঙ্কা আছে। এ ক্ষেত্রে সবাইকে সতর্ক ও প্রস্তুত থাকার কথাও বলা হয়।

আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে আগারগাঁওয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরে সিত্রাং-পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে এসব তথ্য দেন আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান।

তিনি বলেন,‘স্থল ও জলসীমা মিলিয়ে বাংলাদেশে ১৫ ঘণ্টা অবস্থান করে সিত্রাং। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ উপকূলীয় জেলাসহ দেশের আবহাওয়া পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হবে। বরিশাল বিভাগে সর্বোচ্চ ৩২৪ মিলিমিটার আর ঢাকায় ২৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টিহীন ছিল দিনাজপুর ও পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া।’

এর আগে গতকাল সোমবার মধ্যরাতে আবহাওয়াবিদ ড.মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিকের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়,উপকূল অতিক্রম করে দুর্বল হয়ে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। ধীরে ধীরে আরও দুর্বল হয়ে পড়ছে ঘূর্ণিঝড়টি।

আজ মঙ্গলবার এটি গুরুত্বহীন হয়ে পড়বে বলে জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মোংলা,পায়রা ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপৎসংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

অমাবস্যা তিথি ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর,বরগুনা,পটুয়াখালী,ভোলা,বরিশাল,লক্ষ্মীপুর,চাঁদপুর,নোয়াখালী,ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুট অধিক উচ্চতায় বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

এ ছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে এরই মধ্যে ১৪ জন নিহতের খবর মিলেছে।

২৫ অক্টোবর ২০২২
এজি

Share