ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকা চাঁদপুরে দুর্যোগ মোকাবিলায় নানা প্রস্তুতি নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
চাঁদপুর সদর, হাইমচর ও মতলব উত্তর উপজেলার চরাঞ্চলের ১৮টি ইউনিয়নে সতর্কতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রশাসনের উদ্যোগে ইতোমধ্যে নদী তীরবর্তী ১২ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। মানুষকে সচেতন করতে কাজ করে যাচ্ছেন প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা।
নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বাড়তি প্রবাহিত হচ্ছে। নদীতে চলাচলকারী বিভিন্ন নৌ-যান নিরাপদ স্থানে নৌঙর করা হয়েছে। নদী তীরবর্তী এসব এলাকায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে এক হাজার শুকনো খাবার ও ৬০ টন চাল বরাদ দেয়া হয়েছে
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের কারণে চাঁদপুরে চরাঞ্চলে সবকটা মসজিদে মাইকিং করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় আম্ফান সম্পর্কে চরবাসীকে বিস্তারিত জানানো হয়েছে। সকল উপজেলার নির্বাহী অফিসারকে সার্বক্ষণিক সতর্ক থাকার জন্যও বলা হয়েছে।
জেলার নদী তীরবর্তী তিনটি উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নের বাসিন্দাদের নিরাপদে থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। চরের সাইক্লোন শেন্টারগুলো ও আশ্রায়ন প্রকল্পগুলো খোলা রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে নদী তীরবর্তী ১২ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। যে কোনো ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বিশেষ প্রস্তুতি নেয়াসহ পর্যাপ্ত ত্রাণও মওজুদ রয়েছে। ইতোমধ্যে এক হাজার শুকনো খাবার ও ৬০ টন চাল বরাদ দেয়া হয়েছে।
চাঁদপুর সদর ইউএনও কানিজ ফাতেমা জানান, চাঁদপুর সদরের নদী উপকূলীয় এলাকাসহ উপজেলার ৭৮টি আশ্রয় কেন্দ্র ও ২টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যানদেরকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রশাসনের সঙ্গে জনপ্রতিনিধিদের সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রয়েছে।
চাঁদপুর করেসপন্ডেট,২০ মে ২০২০