দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় আম্ফান সামান্য উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে।
আগামী মঙ্গলবার অথবা বুধবার বাংলাদেশে এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে পারে বলে জানিয়েছেন একজন আবহাওয়াবিদ।
এক্ষেত্রে সম্ভাব্য ঝুঁকিপূর্ণ আবহাওয়ার প্রেক্ষিতে বিশেষ কৃষি আবহাওয়া বিষয়ক পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এ পরামর্শ বাগেরহাট, বান্দরবান, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, কুমিল্লা, ফেনী, গোপালগ্ঞ্জ, যশোর, ঝালকাঠি, খাগড়াছড়ি, খুলনা, মাদারীপুর, মুন্সিগঞ্জ, নড়াইল, নোয়াখালী, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, রাঙ্গামাটি, সাতক্ষীরা ও শরীয়তপুর জেলার জন্য প্রযোজ্য।
এই ২৪টি জেলায় ১৯ থেকে ২১ মে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ঝড়ো হাওয়া এবং হালকা থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। দণ্ডায়মান ফসলের ওপর ঝড়ো হাওয়া এবং ভারী বৃষ্টিপাত প্রভাব ফেলতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষার জন্য নিম্নোক্ত জরুরি আবহাওয়াবিষয়ক পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
১. বোরো ধান ৮০ ভাগ পরিপক্ব হয়ে গেলে দ্রুত সংগ্রহ করে ফেলুন।
২. সংগ্রহ করা ফসল পরিবহন না করা গেলে গাদা করে পলিথিন শিট দিয়ে ঢেকে রাখুন যেন ঝড়ো হাওয়া ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত না হয।
৩. দ্রুত পরিপক্ব সবজি ও ফল সংগ্রহ করে ফেলুন।
৪. বালাইনাশক প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।
৫. পানির স্রোত থেকে রক্ষার জন্য বোরো ধানের জমির আইল উঁচু করে দিন।
৬. নিষ্কাশন নালা পরিষ্কার রাখুন যেন জমিতে পানি জমে না থাকতে পারে।
৭. খামারজাত সকল পণ্য নিরাপদ স্থানে রাখুন।
৮. আখের ঝাড় বেঁধে দিন। কলা এবং অন্যান্য উদ্যানতাত্ত্বিক ফসল এবং সবজির জন্য ছুটির ব্যবস্থা করুন।
৯. পুকুরের চারপাশে জাল দিয়ে ঘিরে দিন। ভারী বৃষ্টিপাতে পানিতে মাছ যেন ভেসে না যায।
১০. গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগি শুকনো ও নিরাপদ জায়গায় রাখুন।
ইতোমধ্যে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদফতর দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে। এর অর্থ হলো সমুদ্রবন্দর ঘূর্ণিঝড়কবলিত। সেই সঙ্গে বাতাসের সম্ভাব্য গতিবেগ ঘণ্টায় ৫১ থেকে ৬১ কিলোমিটার। তবে ঘূর্ণিঝড়ের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেয়ার মতো তেমন বিপজ্জনক সময় এখনও আসেনি।
আবহাওয়া ডেস্ক,১৭ মে ২০২০
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur