বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় হামুন কক্সবাজারে আঘাত হানতে শুরু করেছে। কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে প্রচণ্ড বেগে বৃষ্টির সঙ্গে বাতাসে বইছে। বাতাসের প্রভাবে কক্সবাজারের বিভিন্ন উপজেলায় গাছ ও গাছের ডাল ভেঙে পড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় হামুন মোকাবিলায় কক্সবাজারে ৫৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্র এবং ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) প্রস্তুতি সভা শেষে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে জেলার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে লোকজন আসতে শুরু করেছেন।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতিতেও বিজয়া দশমীর অনুষ্ঠান ঘিরে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটক সমাগম হয়েছে। পর্যটকদের নিরাপদে থাকতে মাইকিং করা হচ্ছে। তাদের সাগরে না নামার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে সোমবার রাত থেকে কক্সবাজার ও উপকূল এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া আজ মঙ্গলবার ও আগামীকাল বুধবার কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলসহ সারা দেশে ভারি বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস।
কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর উত্তাল হয়ে পড়েছে। উপকূলের নৌযান এবং মাছ ধরার নৌকাগুলোকে উপকূলের নিরাপদ স্থানে থাকতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাগরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিভীষণ কান্তি দাশ জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় দুপুরে জরুরি প্রস্তুতি সভা করা হয়েছে। এখানকার প্রায় ৫৭৬টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে কিছু লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে আনা হয়েছে।
টাইমস ডেস্ক/ ২৪ অক্টোবর ২০২৩
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur