ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে চাঁদপুরে ঝোড়ো-হাওয়া ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ১৯ মে মঙ্গলবার দুপুর ২টা থেকেই মতলবের দিকে বৃষ্টিপাত শুরু হয়। চাঁদপুরে শহরে বিকেলে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে কয়েক ঘণ্টা রোদের দেখা মিললেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা ম্লান হয়ে যায়। আকাশ ছিলো মেঘাচ্ছন্ন সঙ্গে দমকা হাওয়া।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ এবং চরসমূহ ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
এছাড়া চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় এবং অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ এবং চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় আম্ফান অতিক্রমকালে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম জেলায় এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণসহ ঘণ্টায় ১৪০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলারকে অতিসত্বর নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
সোমবার (১৮ মে) বিকেল ৩টার তথ্য বিশ্লেষণ করে এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
হাইমচরের নীলকমল ইউনিয়নপরিষদ চেয়ারম্যান মো. সালাউদ্দিন চাঁদপুর টাইমসকে রাত ১০ জানান, মধ্যচর ও ঈশানবালায় ঘূর্ণিঝড় আম্ফান সম্পর্কে সকাল মানুষকে সতর্ক করা হয়েছে। চরের সাইক্লোন সেন্টার গুলো ও আশ্রায়ন প্রকল্পগুলো খোলা রাখা হয়েছে ।
সকল ইউপির সদস্যগণের সাথে যোগাযোগ করা ও সার্বক্ষণিক সতর্ক বলা হয়েছে। সব কটা মসজিদে মাইকিং করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় আম্ফান সম্পর্কে চরবাসীকে বিস্তারিত জানানো হয়েছে।
এ দিকে আজ জেলা প্রশাসক জনাব মাজেদুর রহমান খান এর জুম টেলি যোগাযোগ করেছি এবং স্যারের নির্দেশনা মত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
স্টাফ করেসপন্ডেট,১৯ মে ২০২০
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur