ভুয়া করোনা টেস্ট রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে১৫ জুলাই বুধবার গ্রেপ্তার হয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সাবেক সদস্য ও আলোচিত রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম।
অথচ এই সাহেদ একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। চেক জালিয়াতির একটি মামলায় ১০ বছর আগে ২০১০ সালে তাঁর ছয় মাসের সাজা হয়। তাঁকে ৫৩ লাখ টাকা জরিমানা করেন ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ।
ওই আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আবদুস সাত্তার দুলাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘চেক প্রতারণার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি সাহেদ করিম। ২০০৮ সালে চেক জালিয়াতির অভিযোগে মজিবর রহমান নামের একজন ব্যবসায়ী সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। সেই মামলায় বিচার শেষে ২০১০ সালের ১৮ আগস্ট ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত সাহেদকে ৫৩ লাখ টাকা জরিমানা করেন। একই সঙ্গে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত।
আদালত থেকে সাহেদের বিরুদ্ধে তখনই সাজার পরোয়ানা জারি করা হয়। কিন্তু পুলিশ আজ পর্যন্ত সাহেদকে ধরেননি। ফলে বাদী তাঁর টাকাও পাননি। ওই মামলায় সাহেদ পলাতক ছিলেন। পলাতক থাকা অবস্থায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করা হয়েছিল।’
দশ বছর আগে সাহেদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা কার্যকর না হওয়ায় নতুন করে ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত পুনরায় সাজার পরোয়ানা জারি করেছেন। গত সোমবার সাহেদের বিরুদ্ধে সাজার পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
ঢাকার মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. জাফর হোসেন জানান, ‘সাহেদ একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তাঁর বিরুদ্ধে আদালত সাজার পরোয়ানা জারি করেছেন। সেই পরোয়ানা সংশ্লিষ্ট থানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
বার্তা কক্ষ, ১৬ জুলাই ২০২০
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur