শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি বলেছেন, ‘ গত দু’বছর শিক্ষার্থীরা একটা ট্রমার মধ্য দিয়ে গেছে। নতুন করে সব কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আশা করি,তাদের আগামী দিনগুলো সুন্দর হবে। ’
তিনি বলেন,‘ আগের ঘাটতি পুষিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। হয়ত এক শিক্ষাবর্ষে সব ঘাটতি পূরণ সম্ভব নয়। আশা করছি এ শিক্ষাবর্ষ এবং আগামি শিক্ষাবর্ষ মিলিয়ে যেখানে যত ঘাটতি আছে সব পূরণ করা সম্ভব হবে। ‘
বুধবার ২ মার্চ সক ৯টায় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনের আগে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
এরপর তিনি শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিয়ে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এ সময় এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলামসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন,‘প্রাথমিকের ক্লাসও আজ শুরু হয়েছে। মাধ্যমিকের ক্লাস আগেই শুরু হয়েছে। আশা করছি, দ্রুতই স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রমে ফিরে যেতে পারব।’
তিনি বলেন,‘যেসব শিক্ষার্থী এইচএসসি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে যাবে, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে কথা বলব, তারা যাতে শুরুর দিকের ক্লাসগুলোতে শিক্ষার্থীদের ঘাটতি পূরণে কিছু এসেসমেন্ট করিয়ে নেয়।’
পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন,‘আমরা আশা করছি বইগুলো ভালো হবে। চেষ্টা করা হয়েছে বইগুলো ভুল-ত্রুটি মুক্ত রাখতে। তবে একবারেই তো ভুলের ঊর্ধ্বে নয়। আমাদের রিভিউ কমিটি আছে। তারা আবার রিভিউ করবে।
আগামি দিনে আমাদের পাঠ্যপুস্তক আরও ভালো হবে। শিক্ষার্থীদের জন্য আমরা এমন শিক্ষা ব্যবস্থা চাই, যেখানে তারা আনন্দের সঙ্গে শিখবে। শিক্ষার্থীরা জ্ঞান অর্জন করবে,মূল্যবোধ নিয়ে বড় হবে। সেই জায়গা থেকে বইয়ের বড় ভূমিকা আছে।’
০২ মার্চ ২০২২,
এজি